শিরোনাম
◈ এবার ভারতীয়দের বাধার মুখে পণ্ড বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া! ◈ সাংবাদিক শাকিল-ফারজানার জামিন স্থগিত ◈ আওয়ামী লীগ আসতে পারলে আসবে, না আসতে পারলে আসবে না: বিবিসি বাংলাকে মির্জা ফখরুল ◈ চুরি যাওয়া অর্থ ফেরাতে বিশ্বনেতাদের সহায়তা চাইলেন ড. ইউনূস ◈ তানজিদ তামিম বিপিএলে সর্বোচ্চ রান ও ছক্কা হাঁকানোর শীর্ষে ◈ আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম   ◈ নারীর পোড়া লাশ পড়ে ছিল ঝোপের ভেতর, ওড়না-জুতা পড়ে আছে পাশে  ◈ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহন করবে কি করবে না ? সাংবাদিক মাসুদ কামাল এ বিষয়ে যা বললেন ◈ ভ্যাট বাড়ানোর সাথে মহার্ঘ ভাতার কোনো সম্পর্ক নেই: অর্থ উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা

প্রকাশিত : ২৩ মে, ২০১৯, ০৭:০৯ সকাল
আপডেট : ২৩ মে, ২০১৯, ০৭:০৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রশিক্ষণে সাবলম্বী রাজধানীর শতাধিক হিজরা

মুসবা তিন্নি : পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের সবখানে তারা কেবল অপমান , উপহাস , তাচ্ছিল্য আর নিগ্রহের শিকার। সম্মানজনক কোনো কাজ করে জীবন কাটানোর মতো সামাজিক বাস্তবতা তাদের জন্য ঠিক নেই বললেই চলে। তবে তা পেলে তারাও যে কাজ করে সম্মানের সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারে, তার প্রমাণ এখন রাজধানীর শতশত হিজড়া। বিডি নিউজ ২৪

সমাজসেবা অধদিফতর এবং সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা রিথিংকের সহযোগিতায় রাজধানীর শতাধিক হিজড়া এখন স্বাবলম্বী। সমাজের মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন তৃতীয় লিঙ্গের এই মানুষগুলো বর্তমানে কাজের মধ্য দিয়ে নিজেকে সাবলম্বী করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছ থেকেও আদায় করে নিচ্ছেন আলাদা সম্মান। এ প্রসঙ্গে কথা হয় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার হিজড়া রাজিয়া, পলি ও ঝর্ণার সঙ্গে। সমাজসেবা অধদিফতর এবং সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা রিথিংকের সহযোগিতায় পারলারের প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন তারা স্বাবলম্বী। তারা বলেন, সমাজ হিজড়া সম্প্রদায়কে যেখানে অবহেলা করে, সেখানে রিথিংক আমাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজের ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছে। এখন কাজ করাটা আমাদের জন্য একটা বড় ব্যাপার। পারলারে কাজের মধ্য দিয়ে নিজেকে সাবলম্বী করার পাশাপাশি পাচ্ছি আলাদা সম্মান। যেটা আমাদের জন্য সাধারণভাবে পাওয়া সম্ভব হয় না।পারলারে কাজ করছেন হিজড়ারা ,হিজড়া বলে যেখানে কেউ সম্মান দেখায় না, সেখানে একটি কাজের জন্য প্রশিক্ষণ পাওয়া অনেক বড় ব্যাপার। আমরা রিথিংকের প্রতি কৃতজ্ঞ। তবে প্রশিক্ষণের পর এখন কাজ করাটা যেমন সহজ, ঠিক তেমনি একটি কাজের ব্যবস্থা হলে নারকীয় জীবন বাদ দিয়ে আমরা সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকতে পারি।

এছাড়া স্বাভাবিক-সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি থেকে বিতাড়িত হয়ে অন্য একটা ক্ষমতার রুদ্ধদ্বারে গুরু মাতার কাছে তারা আটকে যায়। আমাদের উদ্যোগ হচ্ছে গুরুদের সিন্ডিকেট এবং পুঁজিবাদী ব্যবস্থা থেকে তাদের বের করে এনে সাংস্কৃতিক কর্মসূচির মাধ্যমে মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনা। এখানে যারা আসছেন, তারা প্রতিজ্ঞা করেছেন পুরানো প্রথা ছেড়ে সামনে এগোনোর। আমাদের বিশ্বাস সাংস্কৃতিক কর্মসূচি এবং বিভিন্ন কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার মধ্য দিয়ে স্রোতধারায় এনে কিছুটা হলেও তাদের আত্মবিশ্বাস ও স্বপ্ন আমরা পূরণ করতে পারবো । সম্পাদনা : এইচ এম জামাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়