আক্তারুজ্জামান : নামের পাশে ‘নাম্বার ওয়ান’ শব্দটা জড়িয়ে গিয়েছিল সাকিব আলা হাসানের। সেই সাকিব শীর্ষে ছিলেন না গত ৯ মাস। তবে বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে মাঠে নামার আগেই ফিরে পেলেন নিজের হারানো স¤্রাজ্যের মুকুট। ওয়ানডে ক্রিকেটে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ফিরে পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজে ব্যাটে-বলে দারুণ ভূমিকা রাখায় এই পুরস্কার পেলেন সাকিব। যদিও চোটের কারণে ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনাল ম্যাচটি খেলতে পারেননি তিনি।
আইসিসির অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে এক নাম্বার জায়গাটিকে নিজের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলা গত বছরের সেপ্টেম্বরে রশিদ খানের কাছে স্থান হারিয়েছিলেন। তবে আফগান অলরাউন্ডারকে বেশিদিন থাকতে দিলেন না সাকিব। ৯ মাসের মাথায় এসে আবারও শীর্ষস্থানটি নিজের দখলে নিলেন টাইগার অলরাউন্ডার, বিশ্বকাপের ঠিক আগে।
রশিদ যখন সাকিবকে হটিয়ে শীর্ষে উঠেন তখন তার রেটিং পয়েন্ট ছিল ৩৫৩। দুই নম্বরে থাকা সাকিবের রেটিং তখন ৩৪১। ত্রিদেশীয় সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর সাকিবের এই রেটিং পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৩৫৯। ৩৩৯ পয়েন্ট নিয়ে রশিদ খান এখন নেমে গেছে দুইয়ে।
ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে তিনে আছেন রশিদেরই সতীর্থ মোহাম্মদ নবী। তার রেটিং পয়েন্ট ৩১৯। চারে পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম আর পাঁচে নিউজিল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনার।
এদিকে ওয়ানডে বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশে নেই বাংলাদেশের কোনো বোলার। সবচেয়ে ভালো অবস্থানে পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। ৬৪৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনি আছেন এগারো নাম্বারে। সাকিব আছেন ১৯তম অবস্থানে। মিরাজ ২২ আর মাশরাফির অবস্থান ২৪ নাম্বারে।
ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সেরা বিশে আছেন (২০তম) কেবল মুশফিকুর রহিম। তামিম ইকবাল আছেন ২২ নাম্বারে, সৌম্য সরকার ২৮ আর ৩২তম অবস্থানে সাকিব। তবে আসন্ন বিশ্বকাপের আগে অলরাউন্ডারে শীর্ষস্থান ফিরে পাওয়ার ঘোষণা তাকে আরও ভালো করতে উজ্জ্বীবিত করবে বলে বিশ্বাস করছেন ক্রিকেট ভক্তরা।
আপনার মতামত লিখুন :