আমিন মুনশি : রোজার সাথে সাহরির অবশ্যই সম্পর্ক আছে। তবে রোজা হবার জন্য সাহরি খাওয়া শর্ত নয়। যেমন, নামাজ পড়ার জন্য টুপি মাথায় দেয়া সুন্নত। কিন্তু নামাজ হবার জন্য টুপি মাথায় থাকা শর্ত নয়। টুপি ছাড়াও নামাজ হবে। তবে টুপি মাথায় থাকা সুন্নত। তেমনি সাহরি খাওয়া ছাড়াও রোজা হবে। তবে সাহরি খাওয়া সুন্নত। রাসূল সা. ইরশাদ করেন, ‘তোমরা সাহরি খাও। কেননা, তাতে বরকত রয়েছে।’ (সহীহ মুসলিম ১/৩৫০)
সাহাবি হজরত আমর ইবনুল আস (রা.) সূত্রে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন- ‘আমাদের ও ইহুদি-খ্রিস্টানদের রোজার মাঝে পার্থক্য হলো সাহরি খাওয়া।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬০৪) অন্য হাদিসে বলা হয়েছে, সাহরি খাওয়া বরকতপূর্ণ কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করো না। এক ঢোক পানি দিয়ে হলেও সাহরি করো। কারণ, যারা সাহরি খায় আল্লাহ তাআলা তাদের উপর রহমত বর্ষণ করেন এবং তাঁর ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমতের দুআ করেন।’ (মুসনাদে আহমদ ৩/১২; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা হাদিস : ৯০১০; সহীহ ইবনে হিব্বান ৩৪৭৬) তাই সাহরি না খাবার অজুহাতে রোজা ত্যাগ করা যাবে না।
আমাদের দেশে অনেকের ধারণা, ফজরের আজান হয়ে গেলে আজান শেষ হওয়া পর্যন্ত খাওয়া যায়- এটি সঠিক নয়। কেননা, আজান যদি ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পরে দেয়া হয় তাহলে তো আজানের পূর্বে সাহরির সময় শেষ হয়ে যাওয়ায়- তখন আর খাওয়া যাবে না, খেলে রোজা শুদ্ধ হবে না। হ্যাঁ, যদি কোনো মসজিদে ফজরের সময় শুরু হওয়ার পূর্বে আজান দিয়ে ফেলে, সেটা ভিন্ন কথা, সেক্ষেত্রে সাহরির সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত খাওয়া যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :