কেএম নাহিদ : বাংলাদেশে গার্মেন্ট শিল্পে নিরাপদ কর্মপরিবেশ কার্যক্রম পরিচালনায় আরো ২৮১ দিন কাজ করতে পারবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জোট অ্যাকোর্ড এ্যালায়েন্স। অ্যাকোর্ড এর বিজিএমই ৮ই মে যে সমঝোতা স্মারক সই করেছে তার ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের একটি বোঞ্চ এ রায় দিয়েছে। ২০১৩ সালে রানা প্লাজার ধসের পর কারখানার কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য অ্যাকোর্ড গঠিত হয়েছে। রায়ের পর, শ্রমিকের নিরাপত্তা, ভবন ধস, কারখানা কর্মপরিবেশ কতোটুকু নিশ্চিত হয়েছে তা নিয়ে সোমবার বিবিসি সঙ্গে আলাপ করেছেন গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপতি তাসলিমা আক্তার কাছে।
তাসলিমা বলেন, গার্মেন্টের নিরাপত্তা মোকাবেলায় আমরা তেমন সক্ষম ছিলাম না । রানা প্লাজার ঘটনার পরই অ্যাকর্ড কার্যক্রম শুরু হয়। তখন একটা বিশেষ পরিস্থিতি ছিলো। রানা প্লাজার ঘটনা মোকাবেলায় করা আমাদের সক্ষম তা ছিলনা। আমরা সবাইকে উদ্ধারও করতে পারিনি। আমাদের দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষমতা অর্জনে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি করতে হবে। যাতে শুধু গার্মেন্ট না। এই কমিটি যে কোনো দুর্যোগের ব্যাপারে পরামর্শ দেবে। আশা করেছিলাম অ্যাকোর্ড কার্যক্রম অল্পদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। আমরা জাতীয় নিরাপত্তায় সক্ষমতা লাভ করবো। রানা প্লাজার ঘটনার সময় দেখেছি আমাদের যথেষ্ট মেশিন নেই উদ্ধারে জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস নেই, সেই সক্ষমতা আমাদের তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রত্যাশা ছিল দেশের বিশেষজ্ঞরা তাদের মেধা দিয়ে কারখানার কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা তেমন সক্ষমতা লাভ করতে পারিনি। বরং অ্যাকোর্ডকে এখনো তার কার্যক্র চালু রাখতেই হচ্ছে। একটা বিশেষ সময়ের জন্য অ্যাকের্ড কার্যক্রম আশা করছিলাম। শ্রমিক সংগঠন চাইছে অ্যাকোর্ডের পরামর্শ মালিকদের সহায়তা নিয়ে অ্যাকোর্ড করবে।
তিনি আরো বলেন, কিন্তু দীর্ঘ সময়ের জন্য অ্যাকোর্ড’র কার্যক্রম বহাল রাখা ঠিক হবে না। যেহেতু গার্মেন্ট একটি গ্লোবাল অবস্থান সেহেতু আমাদের আর্ন্তজাতিক আইন তৈরি হবে। যাতে করে মালিক না, বিদেশী ব্রান্ড না, সরকারকেও দায়বদ্ধ করতে পারি। আর্ন্তজাতিক আইন তৈরি করতে হবে। সরকার যাতে আর্ন্তজাতিক মহলে চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং তা জরুরি। সম্পাদনায়: কায়কোবাদ মিলন।
আপনার মতামত লিখুন :