ফাতেমা ইসলাম : ঈদের দিন সকালে যে সেমাই খেয়ে আপনি নামাজ পড়তে যাবেন সেটি তৈরি হচ্ছে মরাত্মক নোংরা পরিবেশে। রাজধানী ও তার আশপাশে গোপন কারখানায় গরুর চর্বি আর পোড়া পামওয়েলে ভেজে মুখরোচক লাচ্ছা সেমাই তৈরি করছে অস্বাধু চক্র। বিশেষজ্ঞদের মতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি এসব সেমাই খেলে নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারেন ভোক্তারা। খাদ্যে আতঙ্ক নিয়ে এভাবেইপ্রথম পর্ব শেষ করেছে চ্যানেল ২৪।
লাচ্ছা সেমাই ভোক্তাদের মুখে যতটা রুচিশীল আর মুখরোচক ঠিক ততটাই করুন ও নোংরা এই সেমাই তৈরির পরিবেশ। রাজধানীর পাশে নারায়নগঞ্জের আবির ফুডের এই লাচ্ছা সেমাই কারখানায় দেখা গেলো নোংরা পরিবেশে একাকার ময়দার খামির। এরপর গরুর চর্বি ও পামওয়েলের মিশ্রনে তথাকথিত ডালডায় চুবিয়ে শুরু হয় খোলা হাতের কসরত।
ঈদে শখ করে যারা সেমাই খাবেন সেটা কিন্তু তৈরি হচ্ছে ময়দার খামিরে ঘাম যুক্ত হাতের কসরতে। যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির হতে পারে। এরপর শ্রমিকের হাতের কসরতে বল তৈরি হলে পোড়া পামওয়েলে ভেজে তৈরি হয় চকচকে ঘিয়ে ভাজা লাচ্ছা সেমাই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি চকচকে এসব সেমাই ছড়িয়ে দেয়া হয় রাজধানীসহ সারাদেশে।
টঙ্গিতে আরেক গোপন কারখানায় মানের বালাই ছাড়াই তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই। খোলা হাতে নোংরা পরিবেশে ময়দার খামিরে গরুর চর্বি আর তেল মিশিয়ে তৈরি করা হয় এসব পণ্য। এমন বেহাল অবস্থায় মুখরোচক সেমাই তৈরির কথা জানাতে সাফাই গাইলেন মালিক।
ঢাকা বিশ^দ্যিালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, সারা শরীর থেকে ঘাম, পায়ের ময়লা মিশে এসব অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরি হচ্ছে। এটা ভাবা যায় না আর এসব ধরারও উপায় নেই। আমরা যারা গ্রাহক আমরাতো এটা না দেখেই খাচ্ছি।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রস্তুত পণ্য ধরতে আমরা সবাইকে সচেতন করছি। তারপরেও যারা এটার ব্যতয় ঘটাবে জেনেশুনে যারা খাদ্যে ভ্যাজাল করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন