আব্দুর রাজ্জাক : বোয়িং শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে নিয়েছে যে, ৭৩৭ ম্যাক্সে ত্রুটি ছিলো। বোয়িংয়ের এই মডেলটি পরপর দুই দফায় বিধ্বস্ত হয়ে ৩৪৬ জনের প্রাণহানীর ঘটনার পর পাইলটদের প্রশিক্ষণের জন্য এর এমসিএএস সফ্টওয়ারটি সংশোধন করা হয়েছে বলে কোম্পানিটি জানায়। সিএনএন, এনডিটিভি
বোয়িং জানায়, বিমানের পাইলটকে সহায়তায় ব্যবহৃত এমসিএএস সফ্টওয়ারটিতে অতিরিক্ত কিছু তথ্য সংযোজন করা হয়েছে। ফ্লাইট পরিচালনার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে বিমানকে সঠিকভাবে পরিচালনায় এই সফ্টওয়ারকে আরো বেশি নিরাপদ করা হয়েছে।
৭৩৭ ম্যাক্সের সফ্টওয়ারটিতে ঠিক কখন প্রথম সমস্যাটি ধরা পড়ে এবং এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে কিনা তা জানানো হয়নি।
বোয়িং এই প্রথমবার স্বীকার করলো যে, সফ্টওয়ারটির ত্রুটির কারণেই ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স ও ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ার বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে। এটি প্রস্তুতের সময়ই ত্রুটি ছিলো তাই বিধ্বস্তের আগে সফ্টওয়ারটি বিমানকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়।
৩৪ টি ৭৩৭ ম্যাক্স পরিচালনা সংস্থা বোয়িংয়ের অন্যতম প্রধান গ্রাহক সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্স জানায়, এ বছরের শেষের দিকে তারাই প্রথম এই সফ্টওয়ারটি সংযোজন করবে বলে আশাবাদী। প্রসঙ্গত, ইথিওপিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার ৭৩৭ ম্যাক্স বিধ্বস্তের পর বিশ্বব্যাপী এই মডেলটি এখন নামিয়ে রাখা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :