শেখ নাঈমা জাবীন : বাঙালির বিদ্যাসাগর চর্চা বিগত কয়েক দিনে এমনভাবে বেড়ে গিয়েছে, যা রীতিমতো চোখে পড়ার মতো। কলকাতার কলেজ স্ট্রিট চত্বরে চোখ-কান খুলে ঢুঁ মারলেই মিলবে তার প্রমাণ। থরে থরে সাজানো বই৷ তার মাঝখান থেকেই এতদিন উঁকি মারত ‘বর্ণপরিচয়’। তবে, গত দু’দিনে ক্রেতাদের চাহিদায় ধুলো ঝেড়ে একদম তাকের সামনের দিকে স্থান পেয়েছে ‘বর্ণপরিচয়’, বলছেন কলেজ স্ট্রিটের দোকানদাররাই। বিক্রিও চোখে পড়ার মতোই। সংবাদ প্রতিদিন
শৈশবে ‘বর্ণপরিচয়’ দিয়েই হাতেখড়ি হয়েছিলো। অক্ষর জ্ঞানের প্রথম ধাপে এই বইটি পড়েছেন সকলেই৷ তবে, বর্তমানে ঝরঝরে ইংরেজি বলা এবং শিক্ষার দৌলতে কোথাও গিয়ে যেন স্কুলব্যাগে কমে গিয়েছে বইটির আনাগোনা। কিন্তু গত মঙ্গলবার কোলকাতায় মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনার পর থেকে বিদ্যাসাগর এবং বর্ণপরিচয় এখন বড়ই প্রাসঙ্গিক। এই পরিস্থিতিতে বহু ক্রেতাই ভিড় জমিয়েছেন কলেজ স্ট্রিটে। এখন অনেকেই কচিকাঁচা নিয়ে এসে দোকানে জিজ্ঞেস করছেন, ‘দাদা ‘বর্ণপরিচয়’ হবে?’ বাঙালি-অবাঙালি নির্বিশেষে ‘বর্ণপরিচয়’ এখন চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। বিক্রেতারা বলছেন, ‘যে বই বিক্রি হত না সেভাবে, সেই বর্ণপরিচয়ই নাকি এক্কেবার চার-চারখানা কিনে নিয়েছেন অনেকই৷’
কোলকাতার শ্যামাচরণ স্ট্রিটের দেব লাইব্রেরির ইনচার্জ সুকুমার মল্লিক জানিয়েছেন, আমাদের দোকানে গত কয়েকদিনে অনেকেই ‘বর্ণপরিচয়’ নিতে এসেছেন। তবে, মূর্তি ভাঙার জন্য হচ্ছে কি না, জানা নেই। বিদ্যাসাগর কোথাও গিয়ে নতুন করে বড় প্রাসঙ্গিক উঠেছেন। বিগত কয়েকদিনে গুগল সার্চ ইঞ্জিনেও বিদ্যাসাগরের খোঁজের ধুম দেখলে চক্ষু চড়ক গাছ হতে পারে আপনারও। উল্লেখ্য, গুগলে গিয়ে ঠরফুধংধমধৎ লিখে সার্চ করুন একবার। লক্ষ্য করবেন, বেশিরভাগ ভিডিও-ই ১৪ মে’র পরের। বর্তমানে রাজনীতির ইসস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্যাসাগর। শেষ দফা লোকসভা ভোটের আগে তিনিই হয়ে দাঁড়িছেন শাসক থেকে বিরোধী সকলের আলোচনার বিষয়। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :