অশোকেশ রায়: ঈদ উপলক্ষে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে শুক্রবার সকালে। এর পরদিন শনিবার বিভিন্ন কাউন্টার ঘুরে অনেক ক্রেতাই উত্তরবঙ্গের ৩ জুনের টিকিট পাচ্ছেন না। বাস কাউন্টারের কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তরবঙ্গের টিকিটের চাপ সব সময় বেশি। বাংলা ট্রিবিউন
রাজধানীর কল্যাণপুর ও গাবতলীর বিভিন্ন কাউন্টার ঘুরে জানা গেছে, উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলার ৩ জুনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। কিছু কিছু কাউন্টারে ২ জুন ও ৪ জুনের অল্পসংখ্যক টিকিট অবিক্রিত রয়েছে।
কল্যাণপুরের শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারে রংপুরের টিকিট নিতে আসা আকরাম বলেন, ‘ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ৫ জুন। তার দুই দিন আগে ৩ জুন বাড়ি যেতে পারবো, কারণ, ৪ জুন থেকে সরকারি ছুটি শুরু হবে। কিন্তু এসে দেখি, ওইদিনের সব টিকিট শেষ। অন্য কাউন্টারে গিয়ে দেখি পাই কি না, না হলে পরের দিন অথবা আগের দিনের টিকিট কাটতে হবে।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের রাস্তায় ঈদের সময় প্রচুর চাপ থাকে। তাই একদিন আগেই (৩ জুন) রওনা হওয়া নিরাপদ। কিন্তু ওইদিনের টিকিট পাইনি।’
এবারের রমজান মাস ২৯ দিন ধরে নিয়ে ৪ থেকে ৬ জুন ঈদুল ফিতরের ছুটি নির্ধারণ করা আছে। সেই হিসেবে ৫ জুন ঈদ। রোজা ৩০টি হলে ঈদ হবে ৬ জুন, সেক্ষেত্রে ৭ জুনও ঈদের ছুটি থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই ৩ জুনের টিকিটের চাহিদা বেশি বলে মনে করছেন বাস কোম্পানির কর্মকর্তারা।
কল্যাণপুরের শ্যামলী কাউন্টারের টিকিট কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বাবু ও এসআর ট্রাভেলসের কর্মকর্তারা বলেন, ৩০ মে ও ৩ জুনের টিকিটের চাপ বেশি। আমাদের এই দুই দিনের টিকিট শেষ। ২ ও ৪ জুনের টিকিট বিক্রিও শেষের পথে।’
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘আগামী ৩০ মে থেকে অগ্রিম টিকিটের বাসগুলো নির্ধারিত গন্তব্যে যাত্রা শুরু করবে। প্রতিটি গাড়ির দুটি টিকিট হাতে রেখে বাকিগুলো বিক্রি করে দেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :