অজয় দাশগুপ্ত : শুধু একটি গান দিয়েও চিরকাল বেঁচে থাকা যায়। যদি তা হয় অনন্ত আনন্দ ও প্রেমের উৎস। স্বদেশী আন্দোলনের সময় লিখে সুর দিয়ে নিজে গেয়েছিলেন, ধন ধান্য পুস্পে ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা... এমন গান এখনো বাঙালির বুকের তলা সজল করে রাখে।
বহুমুখী প্রতিভার এক বিরল মানুষ। জানি না কি কারণে রবীন্দ্রনাথের বিরোধিতায় সময় ব্যায় করতেন। নিন্দুকেরা বলে, নন্দলাল কবিতাটি ও না কি রবীন্দ্রনাথকে শ্লেষ করে রচিত। তবে এটাতো জানা, রবীন্দ্রনাথ বিলেত থেকে ফেরার পর ইনি কলকাতা টাউন হলে নিজের লেখা একটি নাটক মঞ্চায়ন করে দেখতে গিয়েছিলেন। যার পুরোটাই রবীন্দ্রনাথের বিলেত ভ্রমণ আর পুরষ্কার প্রত্যাশার কথিত স্যাটায়ার।
কী হয়েছিল সে দিন? ক্ষিপ্ত উত্তেজিত জনতা রাগে ক্ষোভে মঞ্চে জুতো ছুঁড়ে মেরে রবির অপমানের জবাব দিয়েছিল। মাথা নীচু করে হল থেকে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে। এরপর বেশীদিন বাঁচেননি।
অথচ কী আশ্চর্য তাঁর পুত্র সঙ্গীত শিল্পী সাধক দীলিপ কুমার রায় ঋষি অরবিন্দের আশ্রম বাস শেষে শান্তি নিকেতনে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের আশ্রয়ে।
মৃত্যুর পর তাঁর পুত্রকে লেখা চিঠিতে বলেছিলেন, আমি জানা মতে কোনদিন তোমার পিতার বিরুদ্ধে কিছু বলি নাই। বিরোধিতাও করি নাই। তারপরও মাঝখানে যাহা ঘটিয়াছিল হয়তো সবটাই কুহক সবটাই মায়া।
গদ্যে পদ্যে বিশেষত গানে পঞ্চকবির এক তারকা দ্বিজেন্দ্র লাল রায়( ডি, এল, রায়)। থাক না কিছু অসঙ্গতি। থাক কিছু সীমাবদ্ধতা। তারপরও কতো কতো দিয়েছেন। মন ভালো করা সে অপূর্ব গান, আজি নতুন রতনে ভূষণে যতনে কে সাজাবে মা কে এমন করে? কে লিখবে, ওরা চাহিতে জানে না দয়াময়, চাহে শুধু ধন মান আরোগ্য বিজয়....
মৃত্যুদিনে প্রণাম আপনাকে বাঙালি মনীষা ডি, এল, রায়। (ফেসবুক থেকে)