শিরোনাম
◈ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে অস্থির ঢাকা, শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সরকার ◈ কোনো শিক্ষার্থী নিহত হয়নি, অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ ডিএমপির ◈ শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফেরাতে হবে, না হলে দেশ অন্যদিকে চলে যাবে: মোল্লা কলেজের অধ্যক্ষ ◈ জরুরি সভা ডাকল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ◈ গণতন্ত্রকামীদের সর্তক থাকতে হবে, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা একসাথে যায় না: তারেক রহমান  ◈ নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করলেন ডিএমপি কমিশনার ◈ শাহজালাল বিমানবন্দরে ইসকন নেতা চিন্ময় দাস গ্রেপ্তার ◈ লাখ টাকা ঋণ দেয়ার নামে ঢাকায় জমায়েতের চেষ্টা, ফিরিয়ে দিল পুলিশ-শিক্ষার্থীরা (ভিডিও) ◈ মোল্লা কলেজের ক্ষয়ক্ষতির বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অধ্যক্ষ (ভিডিও) ◈ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নিয়ে যা বললেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ১৭ মে, ২০১৯, ০৪:২০ সকাল
আপডেট : ১৭ মে, ২০১৯, ০৪:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

২০৪০ সালে পানিশূন্য হয়ে যাবে ভারত, বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ভাল

আসিফুজ্জামান পৃথিল : পানির মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ বিবেচিত হয় ভূগর্ভস্থ পানি। কিন্তু মানুষের অপরিণামদর্শী আচরণে এই পানির উৎস দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। ২০৪০ সাল নাগাদ ভূগর্ভস্থ পানিশূণ্য হয়ে যেতে পারে ভারতসহ বেশকিছু দেশে। তবে আশার খবর হচ্ছে বাংলাদেশ অনেকটাই এই ঝুঁকি মুক্ত। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানি নিয়েই ভবিষ্যতে শুরু পারে শক্তি প্রতিযোগিতা। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। সিএনএন

এই পানি সমস্যায় ইতোমধ্যেই পড়ে গেছে ভারত। দেশটি যতদ্রুত নগরায়িত হচ্ছে, ততই চাপ পড়ছে ভ’গর্বস্থ পানিতে। গ্রামের মানুষেরাও এখন নিরাপদ পানি পানে আগ্রহী। সে তুলনায় দেশটির সরকারের ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারযোগ্য করণে খুব একটা উদ্যোগ নেই। ফলে মাটির নিচে থাকা পানিতে চাপ বাড়ছেই। দিল্লির মতো শহরগুলোতে কোটি মানুষের আবাস। ভারত মূলত একটি কৃষিভিত্তিক দেশ। দেশটিতে ব্যবহৃত পানির ৮০ শতাংশই ব্যবহার হয় কৃষিক্ষেত্রে। ফলে শহরগুলোতে পানি সরবরহ করা একটি দূরহ বিষয়। ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ১০ বছরে দেশটিতে ভূ-গর্ভস্থ পানির চাহিদা বেড়েছে ২৩ শতাংশ।

এদিকে ভারত ভূগর্বস্থ পানি রপ্তানির ক্ষেত্রেও বিশ্বে তৃতীয়। বিশ্ববাজারের ১২ শতাংশই তাদের দখলে। ভারত এককভাবে বিশ্বের বৃহত্তম ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহারকারী। মাটির নিচের ২৪ শতাংশ পানিই তারা ব্যবহার করে। ৮৮ শতাংশ ভারতীয় বাড়ির কাছাকাছি রয়েছে পরিস্কার পানির উৎস। ৭৫ শতাংশ বাড়ির নিজস্ব পানির উৎস রয়েছে। তবে দেশটির পানিয় জলের ৭০ শতাংশই বিশুদ্ধ নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে দেশটির পানির উৎসগুলো আরো সংকুচিত হচ্ছে। দেশটিতে বাড়ছে মৌসুমী খরার পরিমাণ। গত বছর হিমাচল প্রদেশের সিমলা একেবারেই পানিশূণ্য হয়ে পড়েছিলো। এতোই খারাপ হয়ে পড়েছিলো পরিস্থিতি যে, শহরটিকে অন্য রাজ্য থেকে পানি আমদানি করতে হয়েছে। পর্যটক নির্ভর শহরটি বাধ্য হয়েছিলো পর্যটকদের তাদের শহরে আসতে না করতে। ব্যাঙ্গালুরু এবং হায়দ্রাবাদের মতো বড় শহরে বড় এক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পানি মাফিয়া। শহরগুলোতে পানি নিয়ে রীতিমত নৈরাজ্য চলছে।

সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এক ভয়াবহ চিত্র। ২০৪০ সালের মধ্যে পৃথিবীর অনেক দেশেই পানির সংকট দেখা দেবে। পাকিস্তান, ইরান, আফগানিস্তান, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশেরই রয়েছে এই ঝুঁকি। এসময়ে দেশগুলোর ভুগর্ভস্থ পানির ৮০ শতাংশের বেশি শেষ হয়ে যাবে। বড় ঝুঁকি রয়েছে মেক্সিকো, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, অস্ট্রেলিয়া সহ অনেক দেশেই। এসময়ে দেশগুলোর ৪০ থেকে ৮০ শতাংশ পানির মজুত শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। মধ্যম থেকে বড় ঝুঁকি কানাডা, নেপাল, জাপান ও রাশিয়াসহ বেশ কিছু দেশে। এই দেশগুলোর ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পানিয় জল শেষ হতে পারে। নিম্ন থেকে মধ্যম ঝুঁকিতে রয়েছে থাইল্যরান্ড, পাপুয়া নিউগিনি, মিশর। আর বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভুটানসহ বেশ বিকছু দেশ রয়েছে নিম্নতম ঝুঁকিতে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়