আসিফুজ্জামান পৃথিল : ইন্টারনেটে সাম্প্রদায়িক উগ্রতা এবং জঙ্গীবাদ রোধে নিউজির্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আর্ডের্নের প্রস্তাবিত ‘ক্রাইস্টচার্চ কল’-এ স্বাক্ষরে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্যসহ ১৭টি দেশ এই ঘোষণায় স্বাক্ষর করলেও বাকস্বাধীনতার ধুয়া তুলে এড়িয়ে গেছে দেশটি। আমাজন, গুগল এবং ফেসবুকের মতো টেক জায়ান্টরাও এই ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে। ভক্স, ডেইলি সাবাহ্ ।
গত বুধবার ‘ক্রাইস্টচার্চ কল উন্মোচন করেন আর্ডের্ন ও ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো। গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে গুলি করে ৫০জনকে হত্যঅর পর এই পরিকল্পনা তৈরী করেন কিউই প্রধানমন্ত্রী। এর উদ্দেশ্য হলো সরকারি সহায়তায় অনলাইনকে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত করা। এর আগেই ফেসবুক ঘোষণা দেয় তারা নিজেদের লাইভ কনটেন্সকে এ ধরণের উগ্রতা মুক্ত রাখতে তারা উদ্যোগী হবে। ক্রাইস্টচার্চ হামলাকারী নিজের মাথায় গো প্রো ক্যামেরা লাগিয়ে হত্যাকাণ্ডের ভিডিও লাইভ সম্প্রচার করেছিলো। পরে সমালোচনার মুখে ফেসবুক তা সরিয়ে নেয়।
ক্রাইস্টচার্চ কল অনুযায়ী এতে স্বাক্ষরকারী দেশে স্বেচ্ছায় ইন্টারনেটে উগ্রতা নিয়ে আইন করবে। তবে এই আইন প্রতিটি দেশ নিজের ইচ্ছেমতো করবে। ফলে অনলাইনে উগ্রতা ছড়ানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি এখানেই। দেশটি বলছে, এই ধরণের আইনের ফলে নাগরিকদের বাকস্বাধীনতা খর্ব হতে পারে। যা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান ও মূলনীতি পরিপন্থী। তাই তারা নিজেদের সযত্নে এধরণের ঘোষণা থেকে দূরে রাখতে চায়।
আপনার মতামত লিখুন :