আক্তারুজ্জামান : দেখতে দেখতে দরজায় টোকা দেয়া দূরত্বে চলে এলো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দ্বাদশ আসর। আগামী ৩০ মে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের মধ্যেকার ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে এবারের আসর। তার আগে আমাদের সময় ডটকম পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘কাউন্ট ডাউন’। গতকাল ছিল ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাস আজ থাকছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে নিয়ে বিশেষ আয়োজন। বাকি আছে আর মাত্র ১৪দিন।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ক্যারিবীয় শক্তির দাপট এতোই ছিল যে টানা তিনবার ফাইনালে উঠেছিল। পরপর দুবার বিশ্বকাপ জয় করলেও তৃতীয়বার কপিল দেবের কাছে হারতে হয়েছিল। কিন্তু ক্রিকেটের দোর্দন্ড প্রতাপশালী সেই ক্যারিবীয় শক্তি যেন হারানোর মুখে।
বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ, বোর্ডের সঙ্গে ক্রিকেটারদের দ্বন্দ্ব এবং আর্থিক টানাপোড়েনে দিশেহারা হয়ে পড়ে ক্যারিবীয় ক্রিকেট বোর্ড। পরের আটটি আসরে সর্বোচ্চ কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। বাঘা বাঘা তারকা থাকা সত্তে¡ও দলীয় পারফর্ম্যান্স খুবই বাজে যাচ্ছে ক্যারিবিয়ানদের। যদিও সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ২০১২ ও ২০১৬ সালে শিরোপা জিতেছিল। কিন্তু একদিনের ফরম্যাটে যেন খুজেই পাওয়া যাচ্ছে না রাসেল-গেইল নামক দানবদের।
কিন্তু এবারের আসরে হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে চাইবে ক্যারিবীয়রা। যার মূল দায়িত্ব পড়েছে আন্দ্রে রাসেল এবং ক্রিস গেইলের ওপর। কেননা সদ্য শেষ হওয়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দুজনের পারফর্ম্যান্স ছিল নজরকাড়া। বিশ্বকাপের দলেও সুযোগ পেয়েছেন এ দুজন। আইপিএলে কলকাতাকে অনেকগুলো ম্যাচ জেতানোর নায়ক ছিলেন রাসেল। এমনকি টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারও হয়েছেন তিনি। সেই রাসেল জ্বলে উঠলে আবারও শিরোপা ঘরে তোলা কঠিন কিছু হবে না।
তাছাড়া দলের নেতৃত্বে আছেন দারুণ সময় পার করা জেসন হোল্ডার। অলরাউন্ডার পারফর্ম্যান্স দেখিয়ে যাচ্ছেন বারবার। বোলিং লাইনে আছে রোচ, কটরেল, গ্যাব্রিয়েল ও নার্সরা। আর ব্যাটিংয়ে যেন স্বপ্নের সময় কাটাচ্ছেন শাই হোপ ও শিমরন হেইটমেয়াররা। আর ঝড়ো ক্রিকেট খেলার জন্য বিখ্যাত লুইস ও ব্র্যাথওয়েটের ব্যাটে তো রানের ফুলকি ঝরে। তাই সঠিক সময়ে এই তারকারা জ্বলে উঠলে আবারও শিরোপা উৎসব হতে পারে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে।
বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোয়াড : জেসন হোল্ডার, ক্রিস গেইল, শিরন হেটমেয়ার, শাই হোপ, এভিন লুইস, ফ্যাবিয়ান অ্যালান, আন্দ্রে রাসেল, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, ড্যারেন ব্রাভো, শেলডন কটরেল, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল, অ্যাশলে নার্স, নিকোলাস পুরান, কেমার রোচ ও ওশানে থমাস।
আপনার মতামত লিখুন :