স্পোর্টস ডেস্ক: ত্রিদেশীয় সিরেজের গ্রুপ পর্বের শেষ দিন নিয়ম রক্ষার ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নেমে হেসে খেলেই ৪২ বল হাতে রেখে ছয় উইকেটেই জয় নিয়েই মাঠে ছাড়ে বাংলাদেশ দল। এদিন আইরিশরা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯৩ টার্গেট দেয় মাশরাফিদের। এই রান তাড়া করতে কোনো সম্যসাই হয়নি তামিম-সাকিবদের। যেখানে এক সময় ছিলো হয়তো এমন লক্ষ্য দেখে ভড়কে যেতো বাংলাদেশ। তবে এখন এই বাংলাদেশ অনেক বেশি পরিণত।
চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের টপ অর্ডার দারুণ ভরসা দিচ্ছে। গতকালও উপরের সারির সবাই রান পেয়েছেন। তামিম ইকবাল, লিটন দাস আর সাকিব আল হাসান হাফসেঞ্চুরি করেন। সমান ৩৫ রান করে আসে মুশফিকুর রহিম আর মাহমুদউল্লাহর উইলো থেকে। মোসাদ্দেক হোসেন করেন ১৪ রান। এদিন টপ আর মিডল অর্ডারের সবাই দুই অংক পেরুনো ইনিংস খেলেছেন। জয় পেতে তাই মোটেও কষ্ট হয়নি টাইগারদের।
যেহেতু আগেই ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। এই ম্যাচটির তেমন গুরুত্ব ছিল না বাংলাদেশের। গুরুত্বহীন ম্যাচে চারটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। কিন্তু প্রতিপক্ষ শক্তিমত্তায় অনেক পিছিয়ে থাকলেও মাঠে একদমই ছেড়ে খেলার মানসিকতা দেখা যায়নি টাইগারদের।
দলের পরিকল্পনা কি ছিল? তিনশোর কাছাকাছি রানও কিভাবে এত সহজে তাড়া করা সম্ভব হলো? অধিনায়ক মাশরাফি জানালেন, এই উইকেটে যে এমন রান তাড়া করা যাবে, সেটা জানাই ছিল তাদের। ওয়ানডে অধিনায়কের ভাষায়, ‘আমরা জানতাম এখানে তিনশো রান তাড়া করা ব্যাপার হবে না।’
আইরিশদের রান আরও বেশি হতে পারতো। মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা আবু জায়েদ রাহি এদিন দুর্দান্ত বোলিং করেন, তুলে নেন ৫টি উইকেট। পরের কাজটা তাই সহজ হয়ে যায় ব্যাটসম্যানদের। দলের এমন পারফরম্যান্সে ভীষণ খুশি মাশরাফি, আশাবাদী ফাইনাল নিয়েও। টাইগার দলপতি বলেন, ‘বোলিংয়ে রাহি দুর্দান্ত ছিল। আমাদের ব্যাটিংও দারুণ হচ্ছে, বিশেষ করে টপ অর্ডার। আমরা এই সিরিজে তিন ম্যাচ জিতেছি। ফাইনাল নিয়ে অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী।’
আপনার মতামত লিখুন :