স্পোর্টস ডেস্ক: ত্রিদেশীয় সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আন্তার্জাতিক ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরু করেন বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া পেসার আবু জায়েদ রাহি। সেই ম্যাচে খুরুচে হলেও কোনো উইকেট শিকার করতে পারেননি তিনি। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তাসকিনের পরিবর্তে কোনো ওয়ানডে ম্যাচ না খেলে বিতর্কের জন্ম দেওয়া রাহির হয়তো বা চাপটা একটু বেশিই ছিলো তাই অভিষেকের পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ পারফরম্যান্সে মিলল চাপ মুক্তির স্বাদ। তাতে স্বস্তি পাচ্ছেন রাহি। তবে জানেন, এই অনুভূতি কেবলই সাময়িক। পাড়ি দিতে হবে আরও অনেক পথ।
প্রথম ম্যাচে উইকেট না পেলেও বুধবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও তাকে সুযোগ দেয় টিম ম্যানেজেমন্ট। তবে এবার রাহি দিয়েছেন আস্থার প্রতিদান। ৫৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। তাকে নিয়ে বিতর্ক হয়তো পুরোপুরি থামবে না তাতে। তবে অনেক প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে পেরেছেন। সর্বোচ্চ পর্যায়ে পারফরম করার সামর্থের প্রমাণও দিয়েছেন।
৫ উইকেট অবশ্য রাহির প্রত্যাশার সীমানায়ও ছিল না। ম্যাচ শেষে জানালেন, সন্তুষ্ট থাকতেন একটি-দুটি উইকেটেই। শোনালেন এখানেই না থামার প্রত্যয়। রাহির ভাষ্য, ‘অবশ্যই ভালো লাগছে। শুরুতে চাইছিলাম একটা উইকেট যেন অন্তত পাই। দুটি হলে তো আরও ভালো। আত্মবিশ্বাস বেড়েছে, তবে এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।’
২৫ বছর বয়সী পেসার জানালেন, অভিষেক ম্যাচে অনেক চাপ থাকলেও পরের ম্যাচে নির্ভার করেছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাইরের সমালোচনা থেকেও নিজেকে আড়াল করার পথ বাতলে দিয়েছেন অধিনায়ক। রাহি বলেন, ‘অভিষেক ম্যাচে কিছু চাপ তো ছিলই। আজকে (বুধবার) কোনো চাপ ছিল না। মাশরাফি ভাই বারবার বলেছিলেন, ‘তুই মন খুলে বল কর। যে রকম ঢাকা লিগে, বিপিএলে বোলিং করিস, সেভাবেই মন খুলে কর। সংশয় নিয়ে বোলিং করিস না। যেটা করার ইচ্ছা কর।’ আমি সেভাবেই করার চেষ্টা করেছি।’
এছাড়া রাহি আরো জানান, ‘বাইরে অনেক কথা হয়েছে। মাশরাফি ভাই একটা কথা বলেছেন যে ‘সোশাল মিডিয়া যদি সহ্য করতে পারো, তাহলে দেখো। সহ্য না করতে পারলে বন্ধ করো।’
দেশের হয়ে প্রথমবার ৫ উইকেট, সব ক্রিকেটারের জন্যই বিশেষ কিছু। আবু জায়েদ তার বিশেষ অর্জন উৎসর্গ করেছেন বিশেষ একজনকে। তিনি বলেন, ‘ামার আম্মু টেনশন করেন আমাকে নিয়ে। পরিবারের ছোট ছেলে, সবসময় ভাবেন। আমার প্রথম ৫ উইকেট আম্মুকে উৎসর্গ করছি।’