মাসুদ আলম : পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে টার্গেট করেছে জঙ্গিরা। দেশজুড়ে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট-আইএসের কোনো তৎপরতা বাংলাদেশে নেই। তবে কারও কারও সঙ্গে আদর্শিক যোগাযোগ থাকতে পারে। জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটি বৈশ্বিক সমস্যা।
বুধবার পুলিশ সদর দফতরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, জঙ্গিদের কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার পর মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়। সবার সমন্বয়ে জঙ্গি দমন সম্ভব। সারাবিশ্বে জঙ্গিরা এখন ‘লোন উলফ’ পদ্ধতিতে হামলা চালাচ্ছে। অর্থাৎ দলবদ্ধ হামলার চেয়ে আত্মঘাতী বা একাকী হামলার প্রবণতা বাড়ছে। এই প্রবণতা রোধ করা প্রায় অসম্ভব।
এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, বৌদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মন্দির বা অনুষ্ঠানস্থলে কেউ ব্যাগ, পোটলা ও ধারালো কোনো বস্তু নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। বৌদ্ধ পূর্ণিমায় কোনো সুনির্দিষ্ট হামলার তথ্য নেই। তবে হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে বৌদ্ধপ্রধান এলাকাসহ সারাদেশেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ঢাকা এবং পার্বত্য অঞ্চলে বৌদ্ধ পূর্ণিমার শোভাযাত্রা হবে। এই শোভাযাত্রা ঘিরেও বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গেও আমরা বৈঠক করেছি। তাদের নিরাপত্তা চাহিদাও পূরণ করা হচ্ছে।
আইএসের দাবি করা বাংলাদেশ শাখার খলিফা শায়খ আবু মুহাম্মদ আল-বাঙালির বিষয়ে আইজিপি বলেন, গণমাধ্যমে আল বাঙালির বিষয়টি এসেছে। তার হুমকির বিষয়টিও গণমাধ্যম থেকেই আমরা জানতে পেরেছি।
অনুষ্ঠানে ক্র্যাবের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি আবুল খায়ের, ও সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত আইজিপি শফিকুল ইসলাম, ডিআইজি (অপারেশনস) ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, ডিআইজি মিডিয়া) ওয়াইএম বেলালুর রহমান, এআইজি মিডিয়া সোহেল রানা, পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কামরুজ্জামান ও জনসংযোগ কর্মকর্তা একেএম কামরুল আহসান ও ক্র্যাবের সহ-সভাপতি মিজান মালিকসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা।