মঈন মোশাররফ : ঈদ উৎসব উপলক্ষে নাড়ির টানে প্রতিবারের মতো এবারও রাজধানী ছাড়বে অধিকাংশ নগরবাসী। কিন্তু দেশের মহাসড়কের অবস্থা বেহাল। দুশচিন্তার প্রধান কারণ এখানেই। সড়ক সংস্কার, ব্রিজ নির্মান কারণে অর্ধদিনের যাত্রা পথে একদিনেরও বেশী সময় লাগছে। সড়কের অবস্থা বিবেচনায় এবার ঈদ সামনে রেখে অতিরিক্ত গাড়ি না নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিকরা। তাহলে নির্বিঘ্নে ঈদ যাত্রার জন্য আমাদের মহাসড়ক ও গণপরিবনের সক্ষমতা কতটুকু?
এ প্রসঙ্গে গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. শামসুল হক বুধবার এ প্রতিবেদককে বলেন, নির্বিঘ্নে ঈদ যাত্রার জন্য আমাদের মহাসড়ক ও গণপরিবনের সক্ষমতা পর্যাপ্ত পরিমানে নেই। বড় ধরণের উৎসবের চাপ সামাল দেয়ার ব্যবস্থাপনা উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তালমিলিয়ে আমরা তৈরি করতে পারিনি। সরকার তাৎক্ষনিক ভাবে এর সামাল দিতে পারে। তবে সামাল দেয়া আর ব্যবস্থাপনা এক নয়। সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।
তিনি বলেন, আমারদের সক্ষমতা এগোচ্ছে তবে পর্যাপ্ত নয়। এর জন্য অনেক দূর যেতে হবে। শুধু মাত্র উৎসবের সময় নজর দিলে হবে না। সারা বছর কাজ করতে হবে। মানুষ নাড়ির টানে কষ্টের কথা ভুলে যায়। তবে তাদের জন্য আমাদের ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়ন করতে হবে। তাহলে সার্বিক ভাবে দেশ লাভবান হবে জনগণ উপকৃত হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকার বর্তমানে এ বিষয়ে অনেক পরিপক্ক। এবার একটা সুখবর আছে ইলেকট্রনিক টোল প্লাজা চালু হচ্ছে। গাড়ির ডিজিটাল প্লেট দেয়া হয়েছে ইলেকট্রনিক টোল প্লাজার জন্য। এই প্রকল্প শেষ হয়েছে কিন্তু সব জায়গায় ইলেকট্রনিক টোল প্লাজা হয়নি। ইলেকট্রনিক টোল প্লাজার একান্ত প্রয়োজন। কারণ টোল প্লাজা সবচেয়ে বেশি জ্যাম সৃষ্টি করে।
তিনি জানান, সঠিক ব্যবস্থাপনা ছাড়া এভাবে টেকসই উন্নয়ন হয়না গায়ে গতরে উন্নয়ন হয়। গুনগতমানের উন্নয়ন করতে হলে দক্ষব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। সম্পাদনায়: এইচ এম জামাল
আপনার মতামত লিখুন :