আব্দুর রাজ্জাক : ভারতের পাঞ্জাব থেকে কানাডার মিসিসগায় কানাডরে কলেজে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে পড়তে যায় জবানদিপ সান্ধু। ২৭ হাজার ডলারের টিউশন ফি, ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্বাহ ও পরিবারকে সহায়তা করতে গাড়ি চালানোর কাজ নেয় সান্ধু। কিন্তু তাকে রাস্তা থেকে আটক করা হয়েছে এবং দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। গ্লোবাল নিউজ
২২ বছর বয়সী জবানদিপ সান্ধু জানায়, ‘২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওন্টারিওর ৪০১ নং মহাসড়কে ট্রাক চালিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় তাকে থামানো হয়। নিয়মিত চেকের জন্য থামানো হলেও পরে তাকে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে ওন্টারিও প্রভিনসিয়াল পুলিশ (ওপিপি) তে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং ১০ দিন আটকে রাখা হয়।’ তবে তার আটকের সঙ্গে কোনো ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ ছিলো না বলে পুলিশের মুখপাত্র জানায়।
পুলিশ সান্ধুর লগবুক চেক করে একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে ২০ ঘণ্টার বেশি সময় কাজ করার তথ্য পায়। কিন্তু সান্ধু বলে, ‘আমিতো কোনো মিথ্যা তথ্য দেয়নি, চুরি বা হত্যাও করিনি। আমার একমাত্র অপরাধ ছিলো কাজ করা। আমি স্কুলে পড়াশোনা অব্যাহত রাখতেই অতিরিক্ত সময় কাজ করেছি।’
কোনোরকম কাজের ভিসা ছাড়াই কানাডায় একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারে এবং গ্রীষ্মের ছুটিসহ অন্যান্য অবকাশে সেখানে ‘ফুল টাইম’ কাজও করা যায়।
সান্ধু প্রথম যখন কানাডায় যায় তখন তার কোনো কাজ ছিলো না। মাঝে মাঝে সে ‘পার্ট টাইম’ কাজ করতো। কিন্তু যখন সে কলেজে ভর্তি হয় তখন তার হাতে প্রচুর সময় থাকে এবং সপ্তাহে ৩৫-৪০ ঘণ্টা গাড়ি চালানোর কাজ নেয়।
সান্ধুর আইনজীবী আডরিয়েনে স্মিথ বলেন, ‘অভিবাসী শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত সময় কাজ করার মামলা কিভাবে পুলিশ নিজেই পরিচালনা করে, তা আমি কখনো দেখিনি।’
উল্লেখ্য, কানাডা প্রচুর বিদেশি শিক্ষার্থী চায়। কিন্তু তাদের আইন ও ব্যবস্থাপনা ব্যায়ের কারণে তা বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সুফল বয়ে আনে না। তাই দেশটির আইনপ্রণেতারা এখন বিদেশি শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত সময় কাজ করার অনুমতি দেয়াসহ অন্যান্য সুযোগসুবিধা দেয়ার কথা ভাবছে। তবে ২০০৬ সালের আগে কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীরা শুধু ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরেই কাজের অনুমতি পেতো।
আপনার মতামত লিখুন :