শেখ নাঈমা জাবীন : ব্যাঘ্রপ্রেমীদের জন্য সুখবর। সুন্দরবনের ক্যামেরায় দেখা মিলেছে নতুন সাতটি বাঘের। ফলে ২০১৬-১৭ সালের হিসেব অনুযায়ী ৮৭ টি বাঘের জায়গায় চলতি বছরে বাঘের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯৪ টি। বর্তমান সময়ে যেথানে বাঘের জন্মের হার ক্রমশ কমতে শুরু করেছে, সেই সময়ে নতুন সাতটি বাঘের সন্ধান পাওয়া ইতিবাচক ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন পরিবেশবিদরা। সংবাদ প্রতিদিন
যদিও সরকারিভাবে এখনও ৭টি বাঘের অস্তিত্বের বিষয়ে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। কারণ, সরকারি ভাবে ঘোষণা করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্য বনদপ্তর বাঘের অস্তিত্ব সম্পর্কে সংগৃহীত সমস্ত তথ্য দেরাদূনের ওয়াইল্ড লাইফ ইন্সটিটিউটে পাঠিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেখানে দেখা হবে যে, একই বাঘকে একাধিকবার গণনা করা হচ্ছে কি না। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ওয়াইল্ড লাইফ ইন্সটিটিউট থেকে সবুজ সংকেত পেলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বনদপ্তর বাঘ বৃদ্ধির সংবাদটি সরকারিভাবে ঘোষণা করতে পারে। বনদপ্তরের এক আধিকারিকের মতে বাঘের সংখ্যাটি ১১০-এও পৌঁছাতে পারে।
বনদপ্তরের এক আধিকারিক জানান, ‘ক্যামেরাবন্দি ছবি থেকে অনুমান করা হচ্ছে, ম্যানগ্রোভ অঞ্চলে ন্যূনতম ৯৪টি বাঘ রয়েছে। সফটওয়্যারের মাধ্যমে আমাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে সর্বোচ্চ ১১০টি বাঘ এই অঞ্চলে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।’ ৯৪টি বাঘের মধ্যে ৬৪টি বাঘ রিজার্ভ এলাকায় এবং ৩০টি বাঘ দেখা গিয়েছে বাফার জোনে। প্রসঙ্গত, ২০১৬-১৭ সালে বাঘের সংখ্যা ছিলো যথাক্রমে ৬২ ও ২৫ টি।
ন্যাশনাল টাইগার কনজার্ভেশন অথরিটি চলতি বছর জুনের প্রথম সপ্তাহেই সুন্দরবনের বাঘ-সহ সারা ভারতের বাঘের সংখ্যা প্রকাশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই রিপোর্টের মধ্যে বাংলাদেশ অঞ্চলে সুন্দরবনের যে অংশটি রয়েছে সেখানকার বাঘের সংখ্যাও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, গত বছর সুন্দরবন ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বনাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৬০০টি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। বাঘের সংখ্যা নির্ধারণের জাতীয় প্রকল্প অনুসারে সারা দেশ জুড়ে প্রতি বছর ব্যাঘ্র সুমারি চালানো হয়। সুন্দরবনের ক্যামেরা প্রতিস্থাপন সেই প্রকল্পেরই অংশ।