লিহান লিমা: উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার তদন্ত পুনরায় শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন সুইডেনের প্রসিকিউটররা। সুইডেন জানায়, ক্ষতিগ্রস্তের আইনজীবির আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি পুনরায় চালু করা হয়েছে। বিবিসি, গার্ডিয়ান
২০১২ সালে লন্ডনের ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেয়া অ্যাসাঞ্জ যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। গত মার্চে সাত বছর পর ইকুয়েডর তার আশ্রয়প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়ার পর লন্ডনের পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। জামিনের শর্ত ভঙ্গ করায় ওয়েস্টমিনিস্টার আদালত গত মাসে তাকে ৫০ সপ্তাহের কারাদ- দেয়। এখন তিনি রয়েছেন লন্ডনের বেলমারাশ কারাগারে।
দুই বছর আগে সুইডেনের প্রসিকিউটররা অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলার তদন্ত বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। তারা বলছেন, অ্যাসাঞ্জ ইকুয়েডরের দূতাবাসে থাকায় মামলায় তদন্ত চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু সোমবার সুইডেনের ডেপুটি ডিরেক্টর অব পাবলিক প্রসিকিউশন ইভা- মেরি পার্শন এই মামলার তদন্ত পুনরায় শুরু করার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘এখন অ্যাসাঞ্জ ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে বের হয়েছেন, তাই মামলার অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে, পুনরায় তদন্ত চালু হবে।’ পার্শন আরো বলেন, ‘অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে এখন ইউরোপিয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে। তবে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষই নির্ধারণ করবেন, তারা কোন বহিঃসমপর্ণের আবেদনে সাড়া দেবেন।’
বিবিসি জানায়, দূতাবাস থেকে অ্যাসাঞ্জ বের হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও সুইডেনে মামলার তদন্ত পুনরায় শুরু এই প্রশ্ন উস্কে দিচ্ছে, বহিঃসমর্পণের কোন অনুরোধ রাখা হবে, সুইডেন নাকি যুক্তরাষ্ট্র। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বহু গোপন, সংবেদনশীল সামরিক ও কূটনৈতিক নথি উইকিলিকসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন অ্যাসাঞ্জ। অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভুত অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে কম্পিউটার হ্যাকিং এর অভিযোগ গঠন করেছে যুক্তরাষ্ট্র, সেখানে পাঁচ বছরের কারাদ-ে দ-িত হতে পারেন অ্যাসাঞ্জ।
এক বিবৃতিতে উইকিলিকস জানিয়েছে, যৌন হয়রানির মামলা সুইডেনে পুনগঠন অ্যাসাঞ্জ সম্পর্কে নতুন বার্তা দেবে। সুইডেনের ওপর এই মামলা চালু করার রাজনৈতিক চাপ রয়েছে।’ অ্যাসাঞ্জের আইনজীবি বলেছেন, ‘এটি সুইডেনের জন্য বিব্রতকর।’
আপনার মতামত লিখুন :