ইউসুফ আলী বাচ্চু : জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামের সদস্যরা অনেকেই জিএম কাদেরের বিপক্ষে একারণে আগামী দিনে দলের কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য অপেক্ষকৃত জুনিয়র কর্মীদের পদোন্নতি দিয়ে প্রেসিডিয়াম সদস্য করছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। গঠনতন্ত্রে প্রেসিডিয়ামের সংখ্যা ৪১ জন নির্ধারিত থাকলেও মানছেন না তিনি।
সম্প্রতি কয়েকজনকে পদোন্নতি দেওয়ায় এখন এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪-তে। নতুন করে আরও কয়েকজনের নাম শোনা যাচ্ছে পদোন্নতির তালিকায়।
সদস্য সংখ্যা কেন বাড়ানো হচ্ছে এমন প্রশ্নে জিএম কাদের বলেন, আমাদের প্রেসিডিয়ামে অনেকে রয়েছেন যারা নিস্ক্রিয়। সে বিষয়গুলো আমরা দেখছি। এতে জটিলতা হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। গঠনতান্ত্রিক কোনো সংকট তৈরি হবে কি না জানতে চাইলে জিএম কাদের বলেন, এজিএম করে গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হবে। প্রয়োজনে ইজিএম করে গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আনা হবে।
এ বিষয় রওশনপন্থী এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, এখন দলে যা হচ্ছে তা সম্পুর্ন গঠনতন্ত্রের নিয়মের বাহিরে। এটা মেনে নেয়া যায় না। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সদস্য সংখ্যা ১৬, বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে রয়েছেন ১৯ জন। সেখানে তুলনামূলক ছোটো দল জাতীয় পার্টির ৪১ সদস্যের প্রেসিডিয়াম নিয়েই রয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। নতুন করে আরও আটজনকে প্রেসিডিয়াম সদস্য করায় মুখরোচক আলোচনা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে দলের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম অসন্তোষ।
এরই মধ্যে সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিবসহ তিনজন সাবেক ছাত্রনেতা পদত্যাগ করেছেন। অসন্তোষ ঠেকাতে নতুন করে আরও কয়েকজনকে প্রেসিডিয়াম সদস্য করার জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
জাতীয় পার্টির ওপর এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, স্যার (এরশাদ) তাকে দলের কতৃত্ব দিয়েছে কিনা আমরা এখনও নিশ্চিত না। জিএম কাদেরকে যদি এরশাদের উত্তরসুরি করবে তাতো দিনে বেলায় করতে পারতেন সেটা রাতের আধারে কেন।
আপনার মতামত লিখুন :