শিরোনাম
◈ পাকিস্তান দলের দরজা সবসময় খোলা ফখর জামানের জন্য ◈ শাহজাদপুরে ১৬ হাজার টাকার জন্য ব্যবসায়ীকে হত্যা, দুই আসামি কারাগারে   ◈ থানা হবে নগরবাসীর জন্য পুলিশের সার্ভিস সেন্টার- নবনিযুক্ত  ডিএমপি কমিশনার ◈ হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে ◈ আজ ঢাকায় আসছেন মার্কিন শ্রম প্রতিনিধি দল ◈ গুমের অভিযোগে ২৪ সামরিক ও গোয়েন্দা কর্মকর্তার পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ ◈ ভারতীয় প্রতিষ্ঠান কাছ থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করবে সরকার ◈ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫ সালে ছুটি থাকবে যতদিন ◈ বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র ◈ ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০১৯, ০৯:০৪ সকাল
আপডেট : ১২ মে, ২০১৯, ০৯:০৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লক্ষ্মীপুরে আকাশ ছুঁয়েছে কলার দাম, হালি ৬০ টাকা!

জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুরে প্রতিনিধি : ইফতারি ও সেহরির অন্যতম অনুষঙ্গ কলার দাম যেন আকাশ ছুঁয়েছে লক্ষ্মীপুরের বাজার গুলোতে। রোজা শুরুর আগে বড় আকারের কলা বিক্রি হয়েছে প্রতি হালি ২৪ টাকা। অথচ রোজার প্রথম দিন থেকে এক লাফে বাজারে কলার দাম হালিপ্রতি ৩৬ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়!

প্রতিটি কলার দাম পড়ছে ১৫ টাকা। আর মাঝারি ও ছোট আকারের কলা বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা পিস হিসেবে এতে ওই কলার হালি পড়ছে ৪০ টাকা। আকাশছোঁয়া দামের কারনে কলার দিকে তাকাতে পারছেন না নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। আবার এই দামেও বাজারে কলা পাওয়া যেন দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে।

কলার দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা সরবরাহ কমের কথা বলছেন। তবে ক্রেতাদের দাবি, রমজানের আগেও বাজারে কলার সরবরাহ পর্যাপ্ত ছিল। রমজানে দাম বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন ব্যবসায়ীরা।

কলা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় বাজারে কলার দাম বেশি। রজমানের আগে ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে অনেক কলা গাছ ভেঙে গেছে। তাই বাইরে থেকে কলা আমদানি করা হচ্ছে। ফলে বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে। এ ছাড়া রমজানে পরিবহন ভাড়া ও লেবারদের অতিরিক্ত খরচের কারনে কলার দাম বাড়ে।

পৌর শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় কলা কিনতে আসা রিপেল মাহমুদ বলেন, রমজান এলে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কলার দাম বাড়িয়ে দেয়। এবার তার মাত্রা বেশি বেড়ে গেছে। যার কারণে ছোট আকারের কলার পিস প্রতি ১০ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। বড় আকারের কলা ১৫ টাকার পিস‘র নিছে দিচ্ছেনা। তিনি বলেন, কলার এত দাম কেউ কখনও আগে দেখেনি। কলার এত দাম হাওয়ার কথা নয়। রমজানে বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে সুযোগ নিচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।

জয়নাল আবেদীন নামে অপর এক ক্রেতা বলেন, দিনভর পানাহার থেকে বিরত থেকে সন্ধ্যায় ইফতারের টেবিলে ও রাতে সেহরির খাবারে কলা ছাড়া যেন চলেই না। বিশেষ করে পাকা আম রমজানে না ওঠায় কলার চাহিদা এবার বেশি। এ সুযোগে ব্যবসায়ীরা কলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ইচ্ছে মতো। আমরা অসহায় ক্রেতারা বেশি দামেই কলা কিনতে বাধ্য হচ্ছি। এবার রমজানে কলার দাম তিনগুণ বেড়েছে।

ভ্যানে করে খুচরা কলা বিক্রেতা ওসমান গনি বলেন, এবার রমজানে বাজারে পাকা আম নেই। আমের বাজারটা দখল করেছে কলা। যে কারণে চাহিদা বেশি। দামও বেশি। বাগবাড়ী এলাকায় ভ্যানে করে খুচরা কলা বিক্রেতা মো. বাহার বলেন, কলার আমদানি কম হওয়ায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। রমজানে কয়েক বছর ধরে পাকা আম পাওয়া যেত। এবার সেই জায়গা দখল করেছে কলা। শরবী কলার ডজন (১২ পিস) ১৮০ টাকা। সাগর কলার ডজন (১২ পিস) ১৮০ টাকা। মাঝারি আকারের বাংলা কলার ডজন (১২ পিস) ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সেলিম খান নামের এক কলা বিক্রেতা বলেন, রমজানে সবারই কম-বেশি কলা লাগে। যে পরিমাণ চাহিদা বাড়ে সেই পরিমাণ কলা পাওয়া যায় না। যার কারণে দাম বেড়ে যায়। কামাল হোসেন, সবুজ হাওলাদার, সুমন ও মো. মফিজসহ কয়েক জন ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, রমজান এলে ব্যবসায়ীরা কলার দাম বাড়িয়ে দেয়। এমন চড়া দামে দরিদ্র ও নি¤œ আয়ের মানুষ তো দূরের কথা, মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে যায় কলা। বেশি দাম দিয়েও বাজারে ভালো কলা পাওয়া যাচ্ছে না। বাজার কলা দুষ্প্রাপ্য হয়ে গেছে। কলা নিয়ে অন্যরকম এক কারসাজিতে মেতে উঠেছে ল²ীপুরের কলা ব্যবসায়ীরা।
পৌর শহরের তমিজ মার্কেট এলাকার কলার আড়তদার মো. জাকির হোসেন বলেন, আমদানি কম হলে দাম বাড়ে। বর্তমানে কলার আমদানি কম তাই দাম বেশি।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়