আবু সুফিয়ান রতন : জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ। দীর্ঘদিন ধরে ছোটপর্দা ও বড়পর্দায় তার অনিয়মিত উপস্থিতি। অনেকেই দায়ি করছেন তার অস্বাভাবিক মুটিয়ে যাওয়াকে। কিন্তু প্রসূন জানালেন ভিন্ন কথা। সম্প্রতি শেষ হলো রাশিদ পলাশ পরিচালিত চলচ্চিত্র পদ্মাপুরাণের শুটিং। তারকাবহুল চলচ্চিত্রটির শেষ অংশের শুটিংয়ে এসে যুক্ত হলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ। ঘূর্ণিঝড় ফণীর কবলে পড়ে শুটিংয়ে সাময়িক বিঘ্ন ঘটলেও মানিকগঞ্জের পদ্মার চরে টানা বেশকিছুদিন এক ভিন্নধর্মী চরিত্র ভ্রমণের অভিজ্ঞতা হলো প্রসূনের।
চলচ্চিত্রটিতে প্রসূন অভিনয় করেছেন মাদক চোরাকারবারীর চরিত্রে। মুটিয়ে যাওয়ার শরীরেই প্রসূন বড়পর্দায় হাজির হয়েছেন। নির্মাতা রাশিদ পলাশ বললেন, তিনি এমনটাই চাচ্ছিলেন। প্রসূনের নতুন রূপে মিলে যাওয়ায় তাকেই কাস্ট করেছেন তিনি। বললেন, “দারুণ অভিনয় করেছেন প্রসূন। বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া বর্ডারের মাদক চোরাকারবারীদের মধ্যে প্রধান সে।”
প্রসূন বললেন, “দেখুন আমি হ্যাপিলি মোটা। যেমন আছি তাতে ভালোই আছি। ‘পদ্মাপুরাণ’-এ অভিনয় করলাম। ড্রাগ ডিলারের চরিত্র। ডিরেক্টর যা খুশি করিয়েছে আমাকে দিয়ে। প্রথম দিন একটু ঝামেলা হলেও পরে মানিয়ে নিয়েছি। চরিত্রের প্রয়োজনে অনেক অশ্রাব্য ভাষায়ও কথা বলতে হয়েছে।”
চরিত্রের প্রয়োজনে কি না করতে পারেন প্রসূন। ক্যারিয়ারের দারুণ সময়ে হঠাৎ প্রসূনের মুটিয়ে যাওয়া নিয়ে হতাশ ভক্তরা। মেদ ঝরিয়ে আগের রূপে কবে ফিরবেন প্রসূন এমন অপেক্ষায়ও মরিচা পড়তে চলেছে। এবার প্রসূন ফাঁস করলেন তার মুটিয়ে যাওয়ার রহস্য।
বললেন, নুরুল আলম আতিকের ‘মানুষের বাগান’ চলচ্চিত্রের জন্যই মোটা হয়েছি। প্রায় ২০ কেজি ওজন কমিয়েছি। চরিত্রটি এমনটাই ডিমান্ড করছিলো। চলচ্চিত্রটির কাজও শেষ। তারপরপরই ‘পদ্মাপুরাণ’ করলাম। এটিই শেষ, আপাতত আর কিছুতেই নেই আমি। একটু বিরতি নিয়ে নতুন করে ফিরবো।”
লাক্স সুপার স্টার হিসেবে মিডিয়ায় পা ফেলা প্রসূন ছোটপর্দার পাশাপাশি বড়পর্দায়ও বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত অন্যতম চলচ্চিত্রগুলো হলো-সর্বনাশা ইয়াবা, অচেনা হৃদয়, মুসাফির, ইউটার্ন ও মৃত্যুপুরী।
আপনার মতামত লিখুন :