শিরোনাম
◈ কোথাও দাম না পেয়ে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য ভাঙারির দোকানে বিক্রি ◈ সম্পদের হিসাব জমা না দিলে সরকারি চাকরিজীবীদের যেসব শাস্তি হতে পারে ◈ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে যেসব দেশ নিরাপদ থাকবে ◈ কারও স্ত্রী চলে গেছে, কারও চাকরি: যেমন আছেন জুলাই আন্দোলনের আহতরা ◈ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেগম রোকেয়ার গ্রাফিতিতে কালো রং, এরপর যা যা হলো ◈ হ্যারি কেইনের রেকর্ড গড়া হ্যাটট্রিকে বায়ার্ন মিউনিখের দারুণ জয় ◈ ভারত ও পাকিস্তানের কাছ থেকে আয়োজক স্বত্ব আইসিসির কেড়ে নেয়া উচিত: রশিদ লতিফ ◈ অ্যান্টিগা টেস্টে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম দিনটি দারুণ কাটোলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ  ◈ যে কারণে বাংলাদেশকে লাখ লাখ ডলার জরিমানা দিতে হচ্ছে ◈ পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, হচ্ছে মামলা, বেশির ভাগই ভারতে অবস্থান করছেন

প্রকাশিত : ১১ মে, ২০১৯, ১১:৫১ দুপুর
আপডেট : ১১ মে, ২০১৯, ১১:৫১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পানির অপচয় রোধের পরামর্শ

সুজিৎ নন্দী : রাজধানীতে পানির সংকট নেই দাবি ঢাকা ওয়াসার। তবে পানি না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা। ওয়াসার কর্মকর্তারা জানান, পাম্পের উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাওয়া, পানির স্তর নেমে যাওয়া এবং বিদ্যুৎ-বিভ্রাটজনিত কারণে পানির উৎপাদন অনেক কম। সব মিলিয়েই ঢাকায় পানির তীব্র সংকট। বেশ কিছু এলাকায় পানিতে ময়লা ও দুর্গন্ধজনিত সংকট আছেই। অনেক এলাকায় মানুষ দুইদিনে একবার গোসল করছেন।

শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া ও আশপাশের এলাকায়ও পানি নেই। সেনপাড়া-পর্বতা এলাকার ওয়াসার পাম্পস্টেশনে মানুষ পানির সমস্যা জানতে এসেছেন। তারা জানান, শুষ্ক মৌসুম এলেই পুরো মিরপুর-কল্যানপুর এলাকায় পানি সমস্যা দেখা যায়।

ওয়াসার অপারেশন বিভাগ জানায়, তাদের হিসাবে সায়েদাবাদ, চাঁদনী চক, নারায়ণগঞ্জ পানি শোধনাগার এবং ৮২৩টি গভীর নলকূপের সাহায্যে প্রতিদিন পানির উৎপাদন ২৫৫ কোটি লিটার। পানির চাহিদা ২১০ থেকে ২৩৫ কোটি লিটার। বাস্তবে উৎপাদন কম হচ্ছে। অন্যদিকে পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব অনুযায়ী, রাজধানীতে প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে জনসংখ্যা বাড়ে। সে হিসাবে পানির চাহিদা বাড়ার হারও ধরা হয় ৫ শতাংশ। তাই পানির চাহিদাও অনেক বেশি।

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেছিলেন, শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকট হয়। রেশনিং পদ্ধতিতে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি যে পরিমাণ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে, তাতে পানির সমস্যা থাকার কথা না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে অপচয়ের কারণে এ সংকট তৈরি হয়। এখানে ৮৭২টি গভীর নলকূপ ও ৫টি পানি শোধনাগারের মাধ্যমে ঢাকার দৈনিক পানির চাহিদার পুরোটাই পূরণ করছে ওয়াসা। কালকের মধ্যে মিরপুরে পানি সংকট অনেক কমে যাবে।

অন্যদিকে সারা বছরই নাখালপাড়া, কল্যানপুর, মুগদা, ভাষানটেক, জুরাইন, মতিঝিল, চকবাজার, হাজারীবাগ, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, ইব্রাহিমপুর, কচুক্ষেত, মিরপুর-১১সহ পুরো মিরপুর, নন্দীপাড়া, জগন্নাথপুর, উত্তরা-৬ ও ৭ নম্বর, সূত্রাপুরসহ পুরান ঢাকার বেশিরভাগ এলাকা পানি সংকট থাকেই । ২০১২ সাল থেকে রামপুরা, বনশ্রী, সিদ্ধেশ্বরী, সেগুণবাগিচা পানি সংকট চলছেই। খুব শিঘ্রই পানি সংকট দূর হবে বলে জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

পানির পাইপে ছিদ্র, পানিতে দুর্গন্ধ, বাড়িতে পানি নেই, পাইপ দিয়ে নোংরা পানি আসছে, পানির বিল আসছে না, বিল বেশি আসছে, মিটারের তথ্য ভুল-ঢাকা শহরে কোথাও না কোথাও এ সমস্যা আছেই। এটিও দ্রুত সমাধান হবে বলে জানান তাকসিম এ খান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়