সৌরভ নূর : একটু খেয়াল করলে দেখা যায় মাধ্যমিকের ফলাফলে একটা বড় অংশ মেয়েদের দখলে, কিন্তু উপরে উঠার সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা তুলনামূলক হারে কমতে থাকে। উচ্চ শিক্ষা কিংবা কর্মক্ষেত্র সব জায়গাতেই এই অবস্থা লক্ষণীয় হয়ে ওঠে। এর জন্য দায়ী কি মেয়েদের অনাগ্রহের কারণ নাকি সামাজিক ভীতি ও প্রতিবন্ধকতা? এ প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেছেন, এর জন্য সামাজিক কারণগুলো অন্যতমভাবে দায়ী। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবকরা মেয়েদের নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন, এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন। এটা শুধু আশঙ্কাই নয়, এ ধরনের দুর্ঘটনা হর-হামেশায় ঘটছে আমাদের সমাজে। সেখান থেকেই বিভিন্ন ধরনের ভীতি জন্মাচ্ছে অভিভাকদের মনে। ফলে পারিবারিকভাবেই প্রথম প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয় অধিকাংশ মেয়েকেই।
তিনি আরো বলেন, আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও শুধু সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে মেয়েরা পিছিয়ে পড়ছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এতোদিনে এটা প্রমাণ হয়ে গেছে শিক্ষার চাহিদা মেয়েদের মধ্যে তুলনামূলক একটু বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বস্তরের মেয়েরা এখন শিক্ষা নিতে চাই, কর্মমুখী জীবন গড়তে চাই। এখন সেই সুযোগটা শুধু তৈরি করে দিতে হবে। প্রতিদিন যে নতুন নতুন প্রতিবন্ধকতার জাল তৈরি হচ্ছে তার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলে মেয়েরা উচ্চ শিক্ষাসহ কর্মক্ষেত্রে সমান বিচরণ করতে সক্ষম হবে।
আপনার মতামত লিখুন :