আল-আমিন : রমজান মাসের রোজা মানুষের জন্য ফরজ ইবাদাত। যে ব্যক্তি এ মাস পাওয়ার পরও নিজের গোনাহ মাফ করাতে না পারবে তার জন্য ধ্বংস সুনিশ্চিত বলে হাদিসে এসেছে। সুতরাং এ মাসের রোজা পালনে সতর্ক হওয়া জরুরি। যে সকল কারণে রোজা মাকরূহ হয়ে যায়, তা তুলে ধরা হলো-
স্বাদ নেয়া
বিনা প্রয়োজনে কোনো বস্তুর স্বাদ গ্রহণ করলে বা চিবালে রোজা মাকরূহ হবে। তবে মহিলারা তরকারির লবন বা ঝাল ইত্যাদি জিহ্বা দিয়ে চেখে দেখতে পারবে। তরকারির স্বাদ চেখে দেখে তা ফেলে দিতে হবে।
থুতু গিলে ফেলা
ইচ্ছাকৃতভাবে মুখে থুতু জমা করে তা গিলে ফেললে রোজা মাকরূহ হয়ে যাবে।
স্ত্রীকে চুম্বন
রোজা অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন বা আলীঙ্গন করলে বীর্জপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে এ অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করলে বা জড়িয়ে ধরলে রোজা মাকরূহ হবে।
ঝগড়া করা
রোজা অবস্থায় ঝগড়া-ঝাটি করে গাল মন্দ করলে রোজা মাকরূহ হবে। এমনকি রোজা রেখে জীব-জন্তুর সঙ্গে কষ্টদায়ক আচরণ করলেও রোজা মাকরূহ হবে।
টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজা
রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট বা টুথ পাউডার, মাজন বা কয়লা ইত্যাদি দিয়ে দাঁত মাজা মাকরূহ। তবে কোনো কিছু ছাড়া শুধু মিসওয়াক করলে রোজা মাকরূহ হবে না।
অশ্লীলতা অবলম্বন
রোজা রেখে অশ্লীল সিনেমাসহ অশালীন ছবি দেখা বা যৌন উত্তেজক লেখা পড়া বা কাজ করলে রোজা মাকরূহ হয়ে যাবে।
অস্থিরতা প্রদর্শন
রোজা রেখে হা-হুতাশ করা; ক্রমাগতভাবে অস্থিরতা প্রকাশ করতে থাকলে রোজা মাকরূহ হবে।
অপবিত্র থাকলে
গোসল ফরজ অবস্থায় রোজা রেখে সকাল পর্যন্ত অপবিত্র তথা নাপাক থাকলে রোজা মাকরূহ হয়ে যাবে।
সুতরাং আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত বিষয়সমূহ থেকে বিরত থেকে সঠিকভাবে রোজা পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
আপনার মতামত লিখুন :