লিউনা হক: সিঙ্গাপুর পার্লামেন্ট গতকাল বুধবার জাল খবর বিরোধী আইন পাস করায় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, সাংবাদিক ও প্রযুক্তি ফার্মগুলো বাকস্বাধীনতা কঠোর হস্তে দমনের আশংকা করছে। রয়টার্স
সরকারি তথ্যমতে অনূর্ধ্ব ১০ বছর কারাদন্ড বা ১০ লাখ ডলারেরও বেশি আর্থিক জরিমানাস্বরূপ অপরাধীদের শাস্তিজনিত ভুয়া খবরগুলো অনলাইনে সংশোধন বা সরিয়ে ফেলার জন্য আইনটি শুধু তাদের জন্য যারা অনলাইন মিডিয়ায় কাজ করে।
স্থানীয় সংবাদসূত্রে জানা যায়, ‘অনলাইন ফলসহুড এন্ড ম্যানিপুলেশন’ বিলটি ৭২ সদস্যের ভোটে পাস হয়, তার মধ্যে ৯ জন বিরোধী আইনপ্রণেতা এর বিরুদ্ধে ভোট দেন।
মনোনীত তিনজন সংসদ সদস্য যারা সরাসরি দেশটির প্রেসিডেন্ট বা স্বায়ত্ত¡শাসিত নয় এমন রাজনৈতিক দল থেকে নিযুক্ত হয়েছিলেন। গুগল ও ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোও বলছে, তারা দেখছে আইনটি সিঙ্গাপুরের সরকারকে সত্য বা মিথ্যা যাচাই করার জন্য খুব বেশি ক্ষমতা দিচ্ছে। কিন্তু দেশটির আইনমন্ত্রী শানমুগাম আগেই বলেছেন, দেশটির সর্বোচ্চ আইন-প্রণয়ন পার্লামেন্টকে ভয় পাওয়া উচিত হবেনা।
‘এই আইনটির মাধ্যমে বাক-স্বাধীনতায় কোন প্রভাব পড়বেনা। আমরা এখানে অসত্য নিয়ে কথা বলছিনা। আমরা বট, ট্রল, ভুঁয়া একাউন্টসহ বিভিন্ন গুঁজব নিয়ে কথা বলছি’, বলে জানান শানমুগাম।
‘একটি গণতান্ত্রিক সমাজের ক্রিয়াকলাপ নির্ভর করে সমাজের মানুষ কি খবর জানল এবং না জানল তার উপর।’
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স অব রিপোর্টারস উইদাউট বর্ডারস-এর এক সমীক্ষায় ১৮০ টি দেশের মধ্যে সিঙ্গাপুরের অবস্থান ১৫১ তম যেখানে রাশিয়া ও মায়ানমারের অবস্থান সবার নিচে। এটি একটি বেসরকারি সংগঠন যারা তথ্যের অবাধ স্বাধীনতা প্রচার করে।
জ্যেষ্ঠ বিচারপতি, উকিল এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় সারা বিশ্বে প্রচারণারত আইন-প্রণেতাদের নিয়ে গঠিত ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিস্টস সংগঠনটি বলছে, আইনটির অপব্যবহার হতে পারে।
‘বিলের অধীনে প্রস্তাবিত বিবিধ জরিমানা, আঞ্চলিক বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিশাল সুযোগ এবং প্রকাশের স্পষ্ট সুরক্ষাগুলির অনুপস্থিতি প্রকৃত ঝুঁকিগুলি প্রকাশ করে যে এটি বিনামূল্যে বিনিময় এবং মতামত ও তথ্য প্রকাশের জন্য অপব্যবহার করা হবে’, রয়টার্সকে দেয়া ইমেইলে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসের এশিয়া প্যাসিফিকের পরিচালক ফ্রেডেরিক রাভস্কি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :