হ্যাপি আক্তার : ধারাবাহিকতা না থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশে বিনিয়োগে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। তাই বিনিয়োগ বাড়াতে দীর্ঘ মেয়াদে স্থায়ী কর কাঠামো চান উদ্যোক্তারা। একই মত বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষেরও। সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান মনে করেন, বাজেটে অন্তত ৫ বছর মেয়াদি কর কাঠামো করা হলে দেশি-বিদেশি দুই পক্ষ থেকেই বিনিয়োগ বাড়বে। - ডিবিসি নিউজ
প্রতি বছরই বাজেটে প্রস্তাবিত কর ও শুল্ক কাঠামোর দিকে চোখ থাকে ব্যবসায়ীদের। সে অনুযায়ী, পরবর্তীতে বিনিয়োগ পরিকল্পনা করেন তারা। কিন্তু এক বছরের ব্যবধানে বাণিজ্য সুবিধা, প্রণোদনা কিংবা করহার পরিবর্তন হলে হোঁচট খায় উদ্যোক্তাদের পরিকল্পনা।
এফবিসিসিআইর পরিচালক সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশের ন্যুনতম পাঁচ বছরের একটা পলিসি থাকা উচিত। সেখানে শুধুমাত্র কর কাঠামো থাকবে বিষয়টা তেমন না। কর কাঠামো ছাড়াও, সেখানে ইনসেনটিভ কাঠামো ও ট্যাক্স-ভ্যাটের বিষয় হতে পারে। এছাড়া সেখানে যদি এক্সপোর্ট ইনসেনটিভ দেয়ার কোনো বিষয় থাকতে পারে।
বিনিয়োগ প্রস্তাব দেয়ার আগে কয়েক বছরের আর্থিক ও মুদ্রানীতি যাচাই-বাছাই করে বিদেশি কোম্পানিগুলো। কিন্তু ধারাবাহিকতা না থাকায় অনেক প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশে বিনিয়োগে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। তাই অন্তত ৫ বছর কর কাঠামো অপরিবর্তিত রাখার জন্য এনবিআরের প্রতি আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ক কর্তৃপক্ষ।
সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘একজন বিনিয়োগকারী যখন কোনো কিছুর ওপর বিনিয়োগ করে বা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় তখন যদি সেটা পরিবর্তন হয়ে যায় তাহলে তার সব হিসেবে এলোমেলো হয়ে যায়। এ ধরনের অনিশচয়তার মধ্যে কোনো বিনিয়োগকারী যেতে চায় না। এনবিআরের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন সময় যে আলোচনা হয়েছে তাতে আমরা সব সময় বলেছি পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকা প্রয়োজন।’
তবে, এরই মধ্যে বিনিয়োগকারীদের জন্য আগাম সুখবর দিয়ে রেখেছেন অর্থমন্ত্রী। বলেছেন, ‘আসছে বাজেটে কর হার বাড়ছে না তাদের।’ সম্পাদনা : জামাল
আপনার মতামত লিখুন :