মঈন মোমাররফ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বুধবার ডয়চে ভেলেকে বলেন, যেসব তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে র্যাংকিং করা হয়, তাদের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যাপ্ত তথ্য উপাত্ত ছিলো না। তারা নিতে পারেনি বা আমরা দিতে পারিনি। আর যে বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে র্যাংকিং করা হয়েছে, তাও যথার্থ নয়। একটি বিশ্ববিদ্যালয় সেই দেশের সমাজ বা রাষ্ট্রে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে, তা বিবেচনা করা হয়নি। এটা বিবেচনায় নেয়া হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান অনেক উপরে হতো।
তিনি আরো বলেন, আমাদের গবেষণায় বরাদ্দের যে হিসাব দেয়া হয়েছে তাও ঠিক নয়। বাস্তবে আরো অনেক বেশি গবেষণা হয় এখানে। তারা শুধু সরকারি বরাদ্দের হিসাব করেছে। কিন্তু এখানে বেসরকারি এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনেক গবেষণা হয় তার হিসাব করা প্রয়োজন। আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। শুধু তাই নয়, আমাদের ফ্যাকাল্টি মেম্বাররা বিশ্বের নামি-দামি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে গবেষণা করছেন। তাদের গবেষণা নন্দিত হচ্ছে। আর এ বছর ৩৫ জন শিক্ষক বঙ্গবন্ধু স্কলারশিপের আওতায় বিশ্বের নামি-দামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছি। যারা ফিরে আসছেন, তাদের গবেষণা ও প্রকাশনা আন্তর্জাতিক মানের। তারা মেধার ভিত্তিতেই সেখানে গেছেন। র্যাংকিংয়ে এই বিষয়গুলো অন্তর্ভ‚ক্ত করা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান উচুতেই থাকবে।