মাকসুদা লিপি: অংক পরীক্ষা তাদের ভাষায় ‘কঠিন' হওয়ায় জার্মানি জুড়ে উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ইতোমধ্যে বাভারিয়াসহ জার্মানির নয়টি রাজ্যের ষাট হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পিটিশনটি স্বাক্ষর করেছেন। এতে ইতোমধ্যে যে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে, সেটির মূল্যায়নের ক্ষেত্রে নীতিমালা শিথিল করার দাবিও করা হয়েছে। ডয়েচে ভেলে
পিটিশনটির আয়োজকরা বলেছেন, ২০১৬ সালের পরীক্ষা চাহিদামতো ছিল, ২০১৭ সালে সেটা পাস করার মতো ছিল, ২০১৮ সালে মোটামুটি সহজ ছিল, কিন্তু ২০১৯ সালের পরীক্ষায় এমন সব প্রশ্ন যোগ করা হয়েছে যা প্রায় কেউই অতীতে কখনো দেখেনি।
সম্প্রতি হয়ে যাওয়া অংক পরীক্ষায় গাণিতিক পর্যালোচনা, জ্যামিতি এবং সম্ভাবনার মতো বিষয় ছিল বলে জার্মান বার্তাসংস্থা ডিপিএ একটি টেস্টের কপি যাচাই করে জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, জার্মানির ষোলটি রাজ্য নিজেদের মতো করে চূড়ান্ত স্কুল সমাপনী পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করে। এতে রাজ্যগুলোর শিক্ষা কর্মকর্তাদের দেয়া প্রশ্নের পাশাপাশি জাতীয় প্রশ্নভান্ডার থেকেও প্রশ্ন যোগ করা হয়।
জার্মান স্কুল অ্যাসোসিয়েশন (ভিবিই)-র প্রধান উডো ব্যাকমান শিক্ষার্থীদের সমালোচনা বিবেচনাযোগ্য হলে পরীক্ষকরা এ বছরের পরীক্ষার গ্রেডিং পদ্ধতি শিথিল করতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন।
তবে, জার্মানির টিচার'স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট পেটার মাইডিংগার শিক্ষার্থীদের সমালোচনাকে ‘চটজলদি' আখ্যা দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং কী ঘটে তা দেখতে হবে।
উল্লেখ্য, জার্মানিতে স্কুল সমাপনী পরীক্ষার সনদকে ‘আবিট্যুর'বলা হয়, যা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইলে শিক্ষার্থীদের দরকার হয়।
আপনার মতামত লিখুন :