নাঈম কামাল : আপনি জানেন কি, মিষ্টি খাবারে থাকা উচ্চমাত্রার পরিশোধিত চিনির সঙ্গে ক্যানসার রোগীদের দেহে টিউমার বেড়ে ওঠার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। শুধু তাই নয়, গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত চিনি খেলে তা থেকে সুস্থ মানুষেরও হতে পারে ক্যানসার! চ্যানেল আই
ক্যানসার মূলত সৃষ্টি হয় জিনগতভাবে পরিবর্তিত কোষের বিভাজনের মাধ্যমে নতুন ত্রুটিপূর্ণ কোষ তৈরির মধ্য দিয়ে। বেশি চিনি খেলে বেশি সংখ্যক কোষ ও ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেগুলো বিভাজিত হয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় জন্ম নেয় ক্যানসার।
জার্মান চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও গবেষক অটো হেনরিখ ওয়ারবার্গ্ব বলেন, সুস্থ কোষের তুলনায় ক্যানসার কোষের শক্তি শোষণ ও ব্যবহারের পদ্ধতি ভিন্ন। মানবদেহে স্বাভাবিক কোষের তুলনায় ম্যালিগন্যান্ট টিউমার, অর্থাৎ ক্যানসারের পরিণত হচ্ছে এমন টিউমারের কোষে গ্লাইকোলাইসিস (দেহের ভেতর চিনি জাতীয় দ্রব্য ভেঙে শক্তিতে পরিণত করার রাসায়নিক প্রক্রিয়া) অনেক বেশি হয়। এই তত্ত্বের জন্য ১৯৩১ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ডা. ওয়ারবার্গ।
‘জার্নাল অব ক্লিনিক ইনভেস্টিগেশন’ সাময়িকীতে ২০১৩-২০১৪ সালের সংস্করণে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশি পরিমাণ গ্লুকোজ (চিনি) গ্রহণের সঙ্গে ক্যানসার কোষ উৎপাদনের প্রাথমিক পর্যায় সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।
পরিশোধিত চিনি বলতে প্যাকেটজাত এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবারের চিনিকে বোঝায়।
আপনার মতামত লিখুন :