আমিন মুনশি: ঝগড়া-বিবাদ, গালি-গালাজ থেকে বিরত থাকা রোজার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। রোজাহীন অবস্থায়ও তা নিষিদ্ধ, আর রোজা অবস্থায় আরও মারাত্মক। সহীহ ইবনে খুযাইমার বর্ণনায় সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের কেউ রোজা রাখলে সে যেন অশ্লীল কথা ও মূর্খতা পরিহার করে। যদি কেউ তাকে গালমন্দ করে কিংবা তার সঙ্গে ঝগড়া-মারামারিতে লিপ্ত হয়, সে যেন বলে- আমি রোজাদার।’
অপর বর্ণনায় এসেছে, ‘সিয়াম হলো (জাহান্নাম থেকে রক্ষাকারী) ঢালস্বরূপ যতক্ষণ না তাকে ভেঙ্গে ফেলা হয়।’ সাহাবায়ে কেরাম প্রশ্ন করলেন, কি করে তা ভেঙ্গে ফেলা হয়? তিনি বললেন, মিথ্যা কিংবা গালমন্দের মাধ্যমে।’
সুতরাং রোজাদার ব্যক্তির জন্য শোভনীয় হবেনা পরিবারের ছোট-বড় কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা; বরং সবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা উচিত। পরিচিত-অপরিচিত যে কোনো লোকের প্রতি কটূবাক্য, জুলুম, নির্যাতন, গালিগালাজ ইত্যাদিতে লিপ্ত হলে সে রোজা তাকে জাহান্নাম হতে রক্ষা করবে না। প্রত্যেক রোজাদার যদি রোজার এই গুরুত্বপূর্ণ বিধান (ঝগড়া বিবাদ পরিহার) মেনে চলেন, তবে সমাজে শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠিত হবে, যেমন হয়েছিল হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও খোলাফায়ে রাশেদার যুগে।
তাই রোজা অবস্থায় কেউ গালি দিলেও তার জবাবে গালি দেয়া যাবে না। কেউ মারামারি কিংবা ঝগড়া-বিবাদ করতে চাইলেও তা এড়িয়ে চলতে হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে আমাদের এমন নির্দেশ দিয়েছেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ কোনদিন রোজা অবস্থায় সকালে উপনীত হয় তখন যেন সে অশ্লীল কাজ ও জাহেলী আচরণ না করে। এমনকি কেউ যদি গালিগালাজ করে কিংবা ঝগড়া-বিবাদ করতে উদ্যত হয় তখন সে যেন বলে আমি রোজাদার। (মুসলিম)
আপনার মতামত লিখুন :