রাশিদ রিয়াজ : এককালীন পুঁজি জোগাতে নির্দেশ দিক শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে কোনো কোম্পানির কোনও বিমানের নথিভুক্তি বাতিল না-করা এবং তাদের স্লট অন্য বিমান সংস্থাকে পুরোপুরি যেন দিয়ে না-দেওয়া-হয়, কেন্দ্র ও বিমান নিয়ন্ত্রককে সেই নির্দেশ দেওয়ারও আর্জি জানিয়েছে জেট এয়ালাইন্সের বৈমানিকেরা। প্রসঙ্গত, ভারতের স্টেট ব্যাঙ্ক-সহ ঋণদাতাদের হাতেই রয়েছে জেটের রাশ বা এয়ারলাইন্সটি টিকিয়ে রাখার সম্ভাবনা। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
আর্থিক সমস্যায় ধুঁকতে থাকা জেট ১৭ এপ্রিল থেকে পরিষেবা বন্ধ করেছে। স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বাধীন ঋণদাতাদের যে গোষ্ঠীর টাকা ঢালার কথা ছিল, তারা তা এখনও তা দেয়নি। বিনিয়োগের যে প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে, তাতে সাড়া মিলবে কি না ঠিক নেই। বলা হচ্ছে ১০ মে ছবিটা স্পষ্ট হবে। সূত্রের খবর, বিনিয়োগকারীর সন্ধান মিললে স্টেট ব্যাঙ্ক অন্তবর্তীকালীন টাকা দেবে। তা দিয়ে কর্মীদের বকেয়া বেতন মেটানো হবে। ফের পরিষেবা চালু করবে জেট। সংস্থার কর্মীরা নিজেরাই পুঁজি ঢেলে পরিষেবা চালুর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু জেটে বিনিয়োগের প্রস্তাব পাঠানোর দিন ইতিমধ্যেই পেরিয়েছে।
এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টে ন্যাগের দাবি, প্র্রতিশ্রুতি দিলেও স্টেট ব্যাঙ্ক এখনও ১,৫০০ কোটি টাকা মূলধন জোগায়নি। তাই ঝাঁপ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে জেট। সমস্যায় পড়েছেন প্রায় ২২,০০০ কর্মী। তাই পুঁজি দিতে শীর্ষ ব্যাঙ্ক যাতে ঋণদাতাদের নির্দেশ দেয়, সেই আর্জি জানিয়েছে তারা আদালতের কাছে।
আপনার মতামত লিখুন :