হ্যাপি আক্তার : দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চিংড়ি ঘেরে প্রায় ৮০ ভাগ পোনা সরবরাহ করে কক্সবাজারের হ্যাচারী থেকে। কিন্তু লোকসানের মুখে একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চিংড়ি পোনা উৎপাদনকারী এসব হ্যাচারী। ভারত থেকে অবৈধপথে পোনা সরবরাহ, পোনার ন্যায্যমূল্য না পাওয়াসহ নানা কারণে ক্ষতির মুখে এ শিল্পে সাথে জড়িত মালিকরা। গেলো দুই বছরে বন্ধ হয়েছে ৩০টির বেশি হ্যাচারী। বাকি গুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এতে বেকার হচ্ছেন স্থানীয় শ্রমিকরা।- চ্যানেল টোয়েন্টিফোর
কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন এই জোন থেকে উৎপাদিত পোনা যায় সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের চিংড়ি ঘেরে।
বছরের মে থেকে শুরু হয় পোনা উৎপাদনের কাজ। যা চলে টানা ৯ মাস। তাই অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয় হ্যাচারীগুলোতে। কিন্তু এবার বেশিরভাগ হ্যাচারীতে নেই সেই ব্যস্ততা। ক্রমাগত লোকসানের কারণে পোনা উৎপাদনে আগ্রহ হারাচ্ছেন হ্যাচারী মালিকরা। তারা বলছেন, খরচে তুলতে না পারায় হ্যাচারী বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা।
এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে উখিয়া-টেকনাফের ৩০টি হ্যাচারী। যেখানে কর্মসংস্থান হারিয়ে বেকার দেড় হাজারের বেশি শ্রমিক। এভাবে চলতে থাকলে বাকি ২৬ টি হ্যাচারীও বন্ধ হওয়া শংকা মালিকদের।শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসেসিয়েশনের মহাসচিব মোহাম্মদ নাজিবুল ইসলাম বলেন, ৫৬টি হ্যাচারি ছিলো, বর্তমানে ২৬টি হ্যাচারি বন্ধ হয়েগেছে।
কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, অবৈধভাবে চিংড়ি পোনা প্রবেশ বন্ধ করতে পারলে প্রকৃত হ্যাচারিগুলো মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে দ্বিতীয় অবস্থানে এ চিংড়ি শিল্প। তাই এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে রক্ষায় উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য। সম্পাদনা : জামাল
আপনার মতামত লিখুন :