হ্যাপি আক্তার : স্বাধীনতার পর গেল ২৯ বছরে এসএসসিতে পাসের হার বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। জিপিএ-ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গিয়ে মেধার স্বাক্ষর ধরে রাখতে পারছে না বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। শিক্ষা দিয়ে ফল বিবেচনা না করে শিক্ষার মান বাড়াতে তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। পাসের হার বৃদ্ধিকে শিক্ষাখাতের ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে দেখলেও তিনি বলছেন, জিপিএ ফাইভের পেছনে ছুটতে গিয়ে প্রকৃত শিক্ষা অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।- সময় টেলিভিশন।
১৯৯০ সালে এসএসসি পরীক্ষায় পাশের গড় হার ছিলো ৩১ দশমিক সাত তিন শতাংশ। আর ২০১৯ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৮২ দশমিক ২ শতাংশে। আর এই সময়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৬ লাখ।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর হতে চলছে, এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের ভালোমনের পাঠ্যপুস্তক দিতে পারিনি। অথচ অহরহ তার পরিবর্তন ঘটানো হয়। শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে তাড়াহুড়ো করে শিক্ষাপদ্ধতি কিংবা সিলেবাস পরিবর্তনের কারণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিজেদের আস্থা অর্জন করতে পারেন না। অন্তত ২০ বছরের কথা চিন্তা করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নেরও আনার পরামর্শ দিলেন এই শিক্ষাবিদ। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :