আল-আমিন : আল্লাহ তায়ালা কিছু ইবাদত সর্বকালে সকল উম্মতকেই দিয়েছেন। তন্মধ্যে বিশেষ একটি হলো রোজা। দয়াবান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন, হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যাতে তোমরা মুত্তাকী-সংযমী হতে পার।-(সূরা বাকারা- ১৮৪)
হাদিস শরিফে রাসূল সা. ইরশাদ করেন, তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো এবং চাঁদ দেখে ঈদ করো। কিন্তু যদি আকাশে মেঘ থাকে, তাহলে গণনায় ৩০ পূর্ণ করে নাও।’ (বুখারি- ১৯০৯; মুসলিম- ১০৮১) অন্য বর্ণনায় রাসূল সা. বলেন, ‘তোমরা (নতুন চাঁদ) না দেখা পর্যন্ত রোজা রেখো না এবং তা (নতুন চাঁদ) না দেখা পর্যন্ত রোজা ছেড়ে দিয়ো না।’ (মুআত্তা মালিক- ৬৩৫)
হজরত তালহা ইবনে ওবায়দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. যখন নতুন চাঁদ দেখতেন তখন বলতেন, (বাংলা উচ্চারণ) আল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াসসালামাতি ওয়াল ইসলামি ওয়াত্তাওফিকি লিমা তুহিব্বু ওয়া তারদা রাব্বুনা ওয়া রাব্বুকাল্লাহ। অর্থ : ইয়া আল্লাহ! এ চাঁদকে আমাদের ওপর উদিত করুন শান্তি ও ঈমান এবং নিরাপত্তা ও ইসলাম সহকারে। (হে চাঁদ!) আমার ও তোমার প্রতিপালক আল্লাহ। (তিরমিজি : ৩৪৪৭)
এ দোয়ায় ইঙ্গিতে বলা হয়েছে, আল্লাহর প্রতি গভীর বিশ্বাস ঈমানের মধ্যেই নিহিত আছে শান্তি। আর জীবনের নিরাপত্তা নির্ভর করে ইসলাম বা আল্লাহর দীনের জন্য নিজেকে সম্পূর্ণ সঁপে দেয়ার ওপর। নতুন চাঁদ দেখার দোয়া পাঠের মাধ্যমেও মোমিন বান্দা আল্লাহ ও ইসলামের প্রতি তার বিশ্বাস, চেতনা ও সম্পর্কের প্রকাশ ঘটায়। এর মাধ্যমে নতুন মাস ও বছরকে স্বাগত জানায়, তার সৌভাগ্যকে বরণ করে নেয় নিজের মন, জীবন ও সমাজের জন্য।
আপনার মতামত লিখুন :