রাশিদ রিয়াজ : ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর’এর এক অনুসন্ধান বলছে ১১’শ ৩৬ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ১২’শ ৫৯ যৌন নির্যাতন, মাদক ব্যবহার ও সহিংস অপরাধের প্রমাণ থাকলেও তারা এখনো পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পর এসব চিকিৎক যে হাসপাতালে কাজ করছে তার পরিচালনা পর্ষদ তাদের পেশাগত দায়িত্ব বাতিলে রাজি হচ্ছে না। গত ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটেনের দি জেনারেল মেডিকেল কাউন্সিলের এক তথ্য বলছে, কোনো কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরির সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে। কারো কারো বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন এমনকি হামলার মত অপরাধে জড়িত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে।
ব্রিটিশ চিকিৎসকদের রোগী দেখার ব্যাপারে আচরণগত যোগ্যতা দেখভাল করেন এমন একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ্যান্থনি ওমো বলেন, কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এধরনের অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত, বিশেষ করে ধর্ষণের মত অপরাধ করলে অবশ্যই চিকিৎসকদের পেশাগত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া উচিত। তবে আদালতের রায় যদি যথেষ্ট না হয় তাহলে উভয়পক্ষ বিষয়টি নিয়ে উচ্চতর আদালতে আপিল করতে পারে। ৫৪৮ হন দ-িত চিকিৎসক যারা পুনরায় চাকরির জন্যে আবেদন করেন তাদের কারো লাইসেন্স বাতিল করা হয়নি। কোনো কোনো চিকিৎসকের দায়িত্বহীনতায় রোগি মারা গেছে, কেউ ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত আবার কেউ শিশু নির্যাতনকারী হিসেবে অভিযুক্ত ছিলেন। ব্রিটেনে মোট চিকিৎসকের সংখ্যা রয়েছে আড়াই লাখ। বছরে একজন শিক্ষানবিস চিকিৎসক ২৭, সাধারণ চিকিৎসক ৫৫ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ৭৫ হাজার পাউন্ড আয় করে থাকেন।
আপনার মতামত লিখুন :