শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের আইনে কী আছে পুরুষদের ধর্ষণের বিষয়ে? ◈ কূটনীতিকের কানাডায় পালিয়ে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য, যা বললো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ◈ আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা ◈ ছয় মাস পর জাতীয় দলে ফিরলেন এমবাপ্পে ◈ ইউএনও’র সহযোগিতায় হুইল চেয়ার পেয়ে আবেগে বললো এবার আমি স্কুলে যেতে পারবো  ◈ যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৩৮৩ জন গ্রেফতার ◈ খুরুশকুলের জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ বিশ্বে প্রথমবার স্বর্ণের দাম তিন হাজার ডলার প্রতি আউন্স ◈ নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক: ড. আবদুল মঈন খান ◈ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ নাও হতে পারে ব্রাজিলের

প্রকাশিত : ০৬ মে, ২০১৯, ১১:২৯ দুপুর
আপডেট : ০৬ মে, ২০১৯, ১১:২৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মার্জার কোম্পানি গঠনের মাধ্যমে এক হয়ে যেতে পারে আজিয়েটা এবং টেলিনর এর এশিয়ার ব্যবসা

আসিফুজ্জামান পৃথিল :  দুই বৃহৎ মোবাইল সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান টেলিনর এবং আজিয়েটার এশিয়া অঞ্চলের ব্যবসা ও সম্পদ একীভূত হয়ে যেতে পারে। দুই কোম্পানির মধ্যে এমন আলোচনা চলছে বলে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তীতে নিশ্চিত করেছে টেলিনর। বাংলাদেশের যথক্রমে গ্রামীণফোন এবং রবির ব্যানারে ব্যবসা করে টেলিনর ও এক্সিয়াটা। টেলিকমপেপার।

জানা গেছে এই একীভূতকরণে বৃহত্তম অংশ থাকবে টেলিনরের হাতে। একীূত এই কোম্পানির সদর দপ্তর হবে মালেয়শীয়ায়। দুই কোম্পানির সম্মিলিত গ্রাহকের প্ররিমাণ হবে প্রায় ৩০ কোটি। ৯ এশিয়ান দেশে দুই কোম্পানির প্রায় ৬০ হাজার টাওয়ার রয়েছে। এটি তখন হবে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান।

ইকুয়িটির ভিত্তিতে এই মার্জার কোম্পানির ৫৬.৫ শতাংশ মালিকানা থাকবে নরওয়ের টেলিনরের হাতে। আর এক্সিয়াটা হবে প্রতিষ্ঠানের ৪৩.৫ শতাংশ স্টেকের মালিক। তবে জানা গেছে এটি প্রাথমিক প্রস্তাবনা। পরবর্তী আলোচনায় এই স্টেকের পরিমাণ বাড়তে বা কমতে পারে। টেলিনর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের ৫৫ দশমিক ৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক।

আর গ্রাহক সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মোবাইল ফোন অপারেটর রবির ৬৮.৭ শতাংশ শেয়ারের মালিক আজিয়েটা।

কোম্পানিগুলোর সূত্র জানিয়েছে, এই মার্জারের লক্ষ্য হলো এশিয়ার টেলিকম ব্যবসায় নেতৃত্ব দেওয়া। এই ৯ দেশের জনসংখ্যা ১০০ কোটির বেশি। কোন কোন দেশে এই দুই কোম্পানি একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী।

বাংলাদেশেও এই দুই কোম্পানি আলাদা আলাদাভাবে ব্যবসা করে। তবে টেলিনরের প্রেস বিজ্ঞপ্তি এবং গ্রামীণফোনের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, গ্রামীণফোন এবং রবি এই মার্জার কোম্পানির আওতায় থাকলেও দুই কোম্পানির ব্যবসা আলাদাই থাকবে।

টেলিযোগাযোগ ব্যবসায় একক আধিপত্য তৈরির পথ বন্ধ করতে গতবছরের শেষ দিকে ‘সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার’ বা এসএমপি প্রবিধানমালা জারি করে বাংলাদেশের টেলিকম খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এরপর গ্রামীণফোনকে সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার (এসএমপি) ঘোষণা করা হয়, যার ফলে অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গ্রামীণফোনের স্বতন্ত্র ও একক স্বত্বাধিকারের নতুন কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপিত হয়।

গ্রামীণফোনের একটি অভ্যন্তরীন সূত্র এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছে, ইচ্ছে থাকা স্বত্তেও দুটি কোম্পানি একীভূত করা যাচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই সূত্রটি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘সরকার আমাদের এটি করতে দেবে না, তা আমরা জানি। তাই আমরা আগেই বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এটি করা গেলে পুরো টেলিকম বাজারই মনোপলি বাজারে পরিণত হতো। তখন সরকারি নির্দেশনাও খুব একটা খাটতো না। সরকার এটি হতে দিতে পারে না বলেই আমাদের মনে হয়েছে। তবে দুই রকাম্পানির উচ্চপর্যায়ে এতো গোপনীয়তার সঙ্গে এই আলোচনা হয়েছে, আমরাও শুরুতে বিষয়টি কোনভাবে আঁচ করতে পারিনি।’

গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা বর্তমানে ৭ কোটি ৪০ লাখ, যা দেশের মোট মোবাইল ফোন সেবাগ্রহীতার ৪৬ শতাংশের বেশি। আর রবির সেবাগ্রহীতার সংখ্যা ৪ কোটি ৭৩ লাখ, যা দেশের মোট গ্রাহক সংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ। এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ড, মালেয়শিয়া, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং মিয়ানমারে ব্যবসা করে টেলিনর। আর আজিয়েটা ব্যবসা করে মালেয়শিয়া, বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, নেপাল, শ্রীলংকা এবং ইন্দোনেশিয়ায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়