শিরোনাম
◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে ১০ বছর আগে যা বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি ◈ জামায়াত কাদের সঙ্গে জোট করবে, জানালেন সেক্রেটারি গোলাম পরোয়ার ◈ ৫৩ বছর দেখেছি, আমরা আরও দু-এক বছর ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে দেখতে চাই:  নুরুল হক (ভিডিও) ◈ নবীনগরে বিপনী মার্কেটে আগুন, পুড়ে ছাই ১২ দোকান ◈ ‘ওরেশনিক’ রাশিয়ার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যা জানা গেল ◈ ফেসবুকে দাবি ‘মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি’, যা বলছে ফ্যাক্ট চেক ◈ মাগুরায় উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার ◈ জয়নাল থেকে বনে গেছেন ডা.আরিফ, নেই কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা (ভিডিও) ◈ গুমের বিচার ও গুম বিলুপ্ত করা আমাদের টপ প্রায়োরিটি : প্রেস সচিব ◈ ঢাকা মহানগরীতে মহাদুর্ভোগ

প্রকাশিত : ০৬ মে, ২০১৯, ০৮:৪৪ সকাল
আপডেট : ০৬ মে, ২০১৯, ০৮:৪৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যেভাবে ঢাকায় স্বর্ণের দোকান লুট হচ্ছে

ফাতেমা ইসলাম : মাত্র ৩০ মিনিটে উত্তরায় একটি দোকান থেকে ৫০ লাখ টাকার স্বর্ণ চুরি করে একটি সংঙ্গবদ্ধ চক্র। চক্রটির স্বর্ণের দোকান লুট করার কৌশলটি বেশ অভিনব। যা ধরা পড়েছে মার্কেটে থাকা সিসি ক্যামেরায়। এই ঘটনায় মামলার পর চক্রটিকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। আটককৃতরা সবাই সাংবাদিকের কাছে বর্ণনা করে স্বর্ণ লুটের কাহিনী। যমুনা নিউজ

১০ এপ্রিল রাত ৮টায় উত্তরার জমজম টাওয়ারে সিড়ি বিভিন্ন ফ্লোর ও ফুড কোর্ড এ অংশনেয় কিছু যুবক, অপেক্ষা কখন বন্ধ হবে দোকান। রাত ৯টার পর দোকানগুলো একে একে বন্ধ হওয়ার পরে বেরিয়ে পড়লো ওঁত পেতে থাকা যুবকরা। এবার ৬ তলার কুইনগোল্ড হাউজে হামলা করলো ওঁত পেতে থাকা যুবকরা। কয়েক সেকেন্ডের চেষ্টায় কেটে ফেলা হলো সব তালা। মিনিট খানেকের পর ভেতরে ঢোকে মুখে কাপড় বাধা একজন। শুরু হয় স¦র্ণ লুট। ২০ মিনিট পরে মিশন শেষ করে চলে যায় যুবকরা। লুটের সময় বাইরে মার্কেট ও সংলগ্ন গলিগুলো পাহারা দেয় আরো কয়েক জন, তাদের দৃশ্যও ধরা পড়ে ক্যামেরায়।

কুইনগোল্ড হাউজের মালিক প্রদীপ কুমার হালদার বলেন, দোকানে এসে আগে আমি লকার দেখলাম দেখি লকার ঠিক আছে। তো সামনে গ্লাসের ভেতরে যেগুলো ছিলো সেগুলো নিয়ে গেছে। মামলার পর ছায়া তদন্তে নামে ঢাকা মহানগর গয়েন্দা পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চক্রের কয়েক জনকে সনাক্ত করে তারা। পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আব্দুল্লাপুর মোড়ের এক হোটেলে অভিযান চালিয়ে হাতে নাতে আটক করা হয় স্বর্ণ লুটেরাদের।

দলনেতা ১৯ বছর বয়সী রুবেল বলেন, আমি এই গ্রুপটা চালাতাম। কোথাও যাওয়ার হলে আমি সবাইকে ফোন দিতাম তারপর ওরা আসতো এরপর আমরা কাজ করতাম। চুরি করা স্বর্ণগুলো আমরা ভাগ করে নিয়ে বাকি গুলা ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি।

আরেক জন বলেন, আমি দোকানে ঢোকার পরে সব স্বর্ণ গুছিয়ে নিয়ে ব্যাগে ভরে নিয়ে আসার পরে এগুলা একজনের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি। চুরি করা স্বর্ণগুলো বিক্রি করা হয় কুমিল্লার একটি দোকানে। সেগুলো উদ্ধারও করা হয়েছে। পুলিশ জানায় রাজধানীতে বিভিন্ন দোকান থেকে লাখ লাখ টাকা লুট করেছে চক্রটি।

উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান জানান, প্রতি সপ্তাহে এই চক্রটি একটা না একটা কাজ করবেই আর সেটা বাংলাদেশের যে কোনো প্রান্তে। উত্তরা মানি এক্সচেঞ্জে যে চুরি হয়েছিলো তার সঙ্গে এই স্বর্ণের চুরির ঘটনায় ৩ জনকে কমন পেয়েছি সরাসরি। এবং বাকি লোকগুলোও পরস্পর পনস্পরকে চেনে। আমরা মনে হয় তারা মিলেমিশে এই কাজগুলো করে।
এরকম আরো ৩ থেকে ৪ টি চক্র রাজধানীতে সক্রিয় বলে জানায় গয়েন্দা পুলিশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়