আসিফ হাসান কাজল: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাটমণ্ডলের হল ঘরে সময় রাত ৯.৪০। একটি মঞ্চ নাটকের মঞ্চায়ন সবে মাত্র শেষ হলো। রঙ্গীন বাতির আলো ও সূরের মূর্ছনায় হলঘর জুড়ে বসে থাকা দর্শক তখনও বিপ্লবী চেতনাই বুদ হয়ে রয়েছে। যার স্বরণে এই আয়োজন তিনি এক সশস্ত্র নারী যোদ্ধা, এক সৃষ্টি, এক ইতিহাস, এক দেশপ্রেমী বঙ্গকণ্যা। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম তিনি প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।
গতকাল রাতে তন্নিষ্ঠ নাটুয়া নাট্যদলের অংশগ্রহনে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের. স্বরণে ১০৮ তম জন্মদিনে "আমি প্রীতিলতা" নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে।
মঞ্চে প্রায় দেড় ঘণ্টা ব্যাপী ধরে চলা বৃটিশ শাষন যুগের এটি কোন মঞ্চায়ন নয়। এই সময় ছিল সামনে বসে থাকা মানুষের জন্য বৃটিশ শাসনের ইতিহাস ভ্রমন করার মত।
প্রীতিলতার নাম ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে একসূত্রে গাঁথা। মেধাবী প্রীতিলতা শিশুকাল থেকেই ব্রিটিশদের দাসত্ব মেনে নিতে পারেননি। মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে তার জীবনের শেষ মিশন ছিল ইউরোপিয়ান ক্লাবে সশস্ত্র আক্রমন। যেখানেই পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে মাত্র ২১ বছর বয়সে বিপ্লবী ইতিহাস হয়ে জীবন দান করেন।
"আমি প্রীতিলতা" নাটকটি জুয়েল কবির রচনা করেছেন। নির্দেশনা দিয়েছেন রিবন খন্দকার
আপনার মতামত লিখুন :