লিহান লিমা: টিভি সিরিজ ‘গেম অব থ্রোনস’ এ দেখা গিয়েছে মহাকাশে গ্রহ-নক্ষত্রগুলোর মধ্যকার ভয়াবহ দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষ। পর্দার হলিউডি কারিশমা এবার ভুলিয়ে দেবে বাস্তবের যুদ্ধ। মহাকাশে ব্ল্যাক হোল ও নিউট্রনের স্টারের মধ্যকার সংঘর্ষ নিয়ে এমনটিই বলছেন বিজ্ঞানীরা। ইউএসএ টুডে, গার্ডিয়ান
ব্ল্যাক হোলের প্রথম ছবি প্রকাশ্যে আনার পর এবার বিজ্ঞানীরা তথ্য দিলেন, তারা নিউটন স্ট্রারের সঙ্গে ব্ল্যাক হোলের মধ্যকার সংঘর্ষ শনাক্ত করেছেন। উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক প্যাট্রিক ব্ল্যাডি বলেন, দুইটি কৃষ্ণ বস্তুর মধ্যকার এই দ্বন্দ্ব দেখা যায় না, এর পরিবর্তে নির্দিষ্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সংকেত মেলে অর্থাৎ তাদের সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট ধ্বনি শনাক্ত করা হয়। মহাকর্ষীয় তরঙ্গের এই ধ্বনি এক শতাব্দী আগে প্রথম দেখিয়ে গিয়েছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইন।
নিউট্রন স্টার এই সৃবৃহৎ তারার অবশিষ্টাংশ যা অতিনবতারার ধ্বংসের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। ব্ল্যাক হোল হচ্ছে মহাবিশ্বের এমন একটি বস্তু যা মহাকর্ষীয় শক্তির কোন কিছুকে তার ভিতর থেকে বের হতে দেয় না, এমনকি তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণকেও নয়। গত মাসে বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক হোলের ছবি তুলতে সক্ষম হন। ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন বলছে, ব্ল্যাক হোল ও নিউট্রন স্টারের মধ্য এই সংঘর্ষ হয়েছে ছায়াপথের অতি দূরবর্তী স্থানে, যা পৃথিবী থেকে ১২০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।
গ্লাসকো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিলা রোয়ান বলেন, ‘আমাদের মহাবিশ্ব যে প্রতিনিয়ত মহাকর্ষীয় বস্তুগুলোর প্রভাবে কম্পিত হয় এটি তার আরেকটি উল্লেখযোগ্য প্রমাণ। আমরা মহাকর্ষীয় সংঘর্ষের ধ্বনি শনাক্ত করেছি যা বিশ্বব্রক্ষ্মান্ডকে বোঝার পরিধিকে আরো সম্প্রসারণ করবে।’ যুক্তরাষ্ট্রের সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ফ্যাসিলেট কাউন্সিল জানিয়েছে, ‘আমাদের মহাবিশ্ব যে একটি ভয়ঙ্কর সাংঘর্ষিক স্থান এটি তার আরো উপযুক্ত প্রমাণ।’
আপনার মতামত লিখুন :