ইমরুল শাহেদ : শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী রনিল উইকরিমেসিঙ্গে বলেছেন, দেশের মাদ্রাসাগুলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে না রেখে ধর্ম ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। গত ২১ এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে তিনি এ কথা বলেছেন। ইন্ডিয়া টুডে
ইস্টার আত্মঘাতী হামলার পর শ্রীলংকা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা ৩৯টি দেশের নাগরিককে অন অ্যারাভেল ভিসা দিবে না। ইস্টার হামলার পর থেকে দেশটি উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। ২১ এপ্রিলের হামলায় ২৬০ জন নিহত এবং ৫০০ জন আহত হয়েছেন। নয়জন আত্মঘাতীর হামলা হয়েছে শ্রীলংকার তিনটি চার্চ ও একটি বিলাসবহুল হোটেলে। এই হামলার দায় ইসলামিক স্টেট স্বীকার করলেও শ্রীলংকা সরকার স্থানীয় উগ্রবাদী ইসলামপন্থী ন্যাশনাল থাওহিড জামাত (এনটিজে)-কেই দায়ি করছে।
শিক্ষামন্ত্রী আকিলা ভিরাজ কারিয়াওয়াসাম বলেন, মুসলিম রিলিজিয়াস এ্যান্ড কালচারাল এ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়কে মাদ্রাসা নিয়ন্ত্রণবিধির প্রতি আলোকপাত করতে বলেছেন উইকরিমেসিঙ্গে। ডেইলি মিরর শিক্ষামন্ত্রী কারিয়াওয়াসামকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী মুসলিম রিলিজিয়াস এ্যান্ড কালচারাল এ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় ব্যাপরটা দেখুক, যাতে বিতর্ক এড়ানো যাবে।’ এর আগে তিনি বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাদ্রাসাগুলোকে নিয়মের আওতায় আনার জন্য উদ্যোগ নেবে। মেগাপোলিশ এ্যান্ড ওয়েস্টার্ন ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী পাতালি চামপিকা রানাওয়াকা বলেছেন, মাদ্রাসাগুলোতে ৮০০ ইসলামী শিক্ষাবিদ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিচ্ছেন। তারা পর্যটন ভিসায় শ্রীলংকায় এসে শিক্ষকতা করছেন। সুতরাং তাদের বিতাড়িত করতে হবে।
শ্রীলংকার জনসংখ্যা দুই কোটি ১০ লাখ। এখানে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মের মানুষ রয়েছেন। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলো সিংহলী বৌদ্ধ। মুসলমানের সংখ্যা ১০ শতাংশ মাত্র। তবে হিন্দুদের পরেই মুসলমানদের অবস্থান। শ্রীলংকায় খ্রিষ্টানের সংখ্যা সাত শতাংশ।
আপনার মতামত লিখুন :