আবুল বাশার নূরু : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গর্ভবতী মা ও নবজাতকের উন্নত পরিচর্যার ক্ষেত্রে সরকার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস উপলক্ষে শনিবার এক বাণীতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ ‘আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মিডওয়াইফকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নারীর অধিকার রক্ষায় মিডওয়াইফ’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। সরকার জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে বিগত ১০ বছরে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। দেশে নতুন নতুন হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে আমরা সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করেছি। এর ফলে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। গর্ভবতী মা ও নবজাতকের উন্নত পরিচর্যা ও মৃত্যুহার রোধে বহুমূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আমরা এমডিজিস গোল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় মিডওয়াইফ অপরিহার্য। মা ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাসে ধারাবাহিক সাফল্য অর্জনের ক্ষেত্রে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে তিন হাজার মিডওয়াইফ পদ সৃষ্টিসহ মিডওয়াইফ শিক্ষাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আমরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সকল জেলা-উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন সাব-সেন্টারে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
নারীদের প্রজননস স্বাস্থ্য রক্ষা এবং গর্ভধারণের ক্ষেত্রে নারীদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি নারীদের স্বাস্থ্যসেবা, অধিকার রক্ষা, সচেতনতা বৃদ্ধিতে মিডওয়াইফগণ কাজ করে যাচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :