জুয়েল খান : একটা সময় ইরাক এবং সিরিয়ার অনেক ভূমি আইএসের দখলে ছিলো যার ফলে তাদের হাতে অনেক তেলের খনি ছিলো, সেখান থেকে তারা অনেক টাকা পেতো। আর এই আর্থিক শক্তির কারণে বিশে^র বিভিন্ন দেশে তাদের সংগঠনের বীজ বপন করেছিলো। কিন্তু এখন তাদের হাতে আর কোনো ভূমি না থাকার কারণে তাদের অর্থের জোগান কমে গেছে যার ফলে তাদের আগের মতো সক্ষমতা নেই বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার।
তিনি বলেন, কোনো সংগঠনের হাতে যখন কোনো ভূমি থাকে না তখন তারা দৌড়ের ওপরে থাকে। আইএস-ও বর্তমানে ঠিক এমন একটা সংগঠন, তারা এখন দৌড়ের ওপরে আছে। দৌড়ের ওপর যাকে পাচ্ছে তাকেই আক্রমণ করছে। তবে তাদের একেবারে অবহেলা করা যাবে না। কারণ সংগঠন যখন দুর্বল হয়ে যায় তখন তারা আত্মগোপনে গিয়ে আত্মঘাতী আক্রমণ করে। আর এই আক্রমণ সবচেয়ে মারাত্মক হয়। যখন কেউ নিজে মরতে চায় এবং অন্যকে মারতে চায় তখন তাদের হাত থেকে রেহাই পাওয়া কঠিন।
তিনি আরো বলেন, আইএস দুর্বল হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তারা যে আত্মঘাতী হামলা ঘটাবে না সেটা বলা যাবে না। তারা যেকোনো দেশে যেকোনো সময় আত্মঘাতী হমলা চালাতে পারে। তাই এদের থেকে সবসময় বাড়তি সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে। যদিও বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট সক্রিয় আছে। তবে দেশের ভেতরে কিছু চক্র আছে তারা সরকারের সতর্ক অবস্থানের কারণে সক্রিয় হতে পারছে না।
আপনার মতামত লিখুন :