মোহাম্মদ মাসুদ : সম্প্রতি উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির ঘটনায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন ডাক্তারদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সুযোগ রাখার বিষয়টি নিয়ে। অনেকে মনে করছেন, যতদিন প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সুযোগ রাখা হবে ততদিন সরকারি হাসপাতালে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা যাবে না। তবে এতে দ্বিমত জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব। বিবিসি বাংলা
তার মতে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর অনুপাতে চিকিৎসকদের সংখ্যা মাত্র হাতে গোনা হওয়ায় তাদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বাদ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তবে বাস্তবে উপজেলা পর্যায়ে এখনও চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বাসিন্দা মমতাজ বেগমের ভাই কিছুদিন আগে ভয়াবহ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে যান পার্শ্ববর্তী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু সেখানে কোনো ডাক্তার না থাকায় তাৎক্ষণিক কোন চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়নি।
আউটডোরে ডিউটির জন্য ১৬/১৭জন ডাক্তার এখান থেকে বেতন নেয়। কিন্তু আসে মাত্র তিন জন। একজন গাইনি, একজন সার্জন আরেকজন দাঁতের সার্জন আর কেউ থাকেনা। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের এই অনুপস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করেছেন খোদ চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরাও।
তবে উপজেলা পর্যায়ের চিকিৎসকদের পরিবার নিয়ে থাকার মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না থাকা, সেইসঙ্গে পদোন্নতি পিছিয়ে পড়াতে পারে এমন আশঙ্কায় চিকিৎসকরা সেখানে থাকতে চাননা বলে জানান ময়মনসিংহের বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মতিউর রহমান।
তিনি বলেন, এখানে ভাল কোন কোয়ার্টার নাই যে একজন ডাক্তার তার ফ্যামিলি নিয়ে নিরাপদে থাকবে। অনেক উপজেলায় ভালো স্কুল নাই। আবার দেখা যায় হাসবেন্ডকে এক উপজেলায় দিলে ওয়াফকে আরেক উপজেলায় নিয়োগ দেয়া।
আপনার মতামত লিখুন :