শিরোনাম
◈ ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও ভাইরাল হাসিনাকন্যা পুতুলের (ভিডিও) ◈ লিবিয়ায় ২৩ লাশ দাফন, নিখোঁজ আরও ৩১: ফেসবুক লাইভে রাষ্ট্রদূত (ভিডিও) ◈ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যেতে বাধা পেয়ে শাহবাগে আহতদের অবস্থান (ভিডিও) ◈ মসজিদ থেকে বেরিয়ে আটক আ.লীগ নেতা, পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিল গ্রামবাসী ◈ নিহত যুবদল নেতার পারিবারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বৈঠক ◈ অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ‘হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ’, রিকশায় করে নিয়ে লাশ ফেলা হয় হাতিরঝিলে ◈ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা দরকার: টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন ◈ এক মাস ধরে আমার পরিবার বাজার থেকে খোলা সয়াবিন তেল কিনে খাচ্ছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা ◈ ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন ফখরুল, খসরু, লন্ডন থেকে যাচ্ছেন জাইমা রহমানও ◈ খালেদা জিয়াকে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের চিঠি

প্রকাশিত : ০১ মে, ২০১৯, ১০:১৬ দুপুর
আপডেট : ০১ মে, ২০১৯, ১০:১৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যেন নতুন যৌবন ফিরে পেয়েছে ইয়োহান ক্রুইফের সেই আয়াক্স

স্পোর্টস ডেস্ক : জুভেন্টাসের আলিয়েঞ্জ এরেনায় চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল চলছে, ম্যাচের ৬৭তম মিনিটে হঠাৎ করে লাফিয়ে উঠলেন আয়াক্সের তরুণ অধিনায়ক ডি লিট, কর্নার থেকে আসা বলে মাথা ছুঁইয়ে দিলেন। জুভেন্টাসের মাটিতে সেদিন তার গোলের সাথে তুরিনের বুড়িদের আরেকবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বপ্ন থমকে গেলো সেখানেই৷

এই শতাব্দীতে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালেও উঠে গেলো ইয়াহোন ক্রুইফের উত্তরসূরীরা। তবে আয়াক্সের চমক কিন্তু সেখানেই শুরু হয়নি, বরং দ্বিতীয় রাউন্ডে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে হারার পরেও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এসে তাদের মাঠেই ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে। এক যুগ পর ইউরোপের শ্রেষ্ঠ এই আসরে কোয়ার্টেরেও উঠে যায় ডি লিট, ইয়ং, তাদিচ, নেরেসরা৷

একটু পিছনে ফিরে যাওয়া যাক!
দুই বছর আগে এই শতাব্দীতে কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রথমবারের মতো উঠেছিলো আয়াক্স, কিন্তু ইউরোপা লিগের ফাইনালে সেবার হোসে মরিনহোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে আর পেরে উঠেনি৷ এরপর পিটার বশচের হাত থেকে কাইজার, এরপর রেইজাগের পদত্যাগের পর দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় টেন হাগ এর কাঁধে। দলেও এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন!

পুরো দলের অনেকাংশেই হয়েছে নতুন বসন্তের আগমন, সেন্টারব্যাক ভেল্টম্যানের বদলে এখন তার জায়গায় ডিফেন্স সামলায় মরোক্কোর মাজরাউইক, একদম একাডেমি থেকেই মূল একাদশে এই ফুটবলারকে জায়গা দিয়েছেন টেন হাগ৷ ৪২ মিলিয়নে কলম্বিয়ার সানচেজকে বিক্রি করে দিয়ে কেনা হয়েছে ১৪ মিলিয়নের ডেলেই ব্লিন্ডকে৷ আর্জেন্টিনা থেকে উড়ে এসেছেন নিকোলাস তাগলিফিয়েকো।

এত পরিবর্তনের মাঝেও শুধু দল থেকে ছেটে ফেলা হয়নি এক ১৯ বছরের অমূল্য রত্নকে, বরং দলের অধিনায়কই বনে গেছেন এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেকে বিপক্ষের ত্রাসে পরিনত করা ম্যাথিস ডি লিট। আবার মাত্র ১ মিলিয়নের ডি ইয়ং কে এই মৌসুমে ৬৫ মিলিয়নে কিনে নিয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা, এতটাই দুর্দান্ত ছিলেন এই ডাচ রিক্রুট। সামনের সিজন থেকেই কাতালানদের হয়ে মাঠ মাতাবেন ইয়ং, তাই আয়াক্স তাদের একাডেমি থেকে মূল দলে নিয়ে এসেছে ডনি ফন ডে কে৷

এই মৌসুমে আয়াক্সের আরেক যোদ্ধা সার্বিয়ান তাদিচ, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে একেবারেই অচেনা থাকা এই উইংগার এখন ইউরোপের বড় দলগুলোরই নজরে পড়ে গেছেন। ইংলিশ লিগের আক্রমনাত্মক খেলার বদলে তাদিচের সাথে মিলে গেছে ডাচ লিগের কৌশলগত পন্থা, স্বভাবতই দুয়ে দুয়ে চার মিলে তাদিচ এখন আয়াক্সের তুরুপের তাস। গোল করতে এবং করাতে সমান পারদর্শী এই সার্বিয়ান।

আয়াক্সের আরেক বাজির ঘোড়া ব্রাজিলিয়ান ডেভিড নেরেস৷. ব্রাজিলের সাও পাওলো থেকে মাত্র ১০.৫ মিলিয়নে উড়িয়ে আনা এই তরুন রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে দলের হয়ে রেখেছেন বড় অবদান৷ তরুণ এই ব্রাজিলিয়ানের গতির সাথে তাল রাখতেই হিমশিম খেতে হয়েছে গ্যালাক্টিকোসদের৷ আয়াক্সের ফুটবলারদের তুলে ধরতে হলে নাম বলতে হবে মরক্কোর হাকিম জিয়েচের কথাও, দুই বছর আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথের সেই ফাইনালে ছিলেন তিনিও। সময়ের সাথে সাথে হয়েছেন আরো ক্ষুরধার আরো নির্ভরযোগ্য!

সাধারণত আয়াক্স ৪-৩-৩ ফর্মেশনে খেললেও দরকারে সেটা হয়ে যায় ৪-২-৩-১ এ। আর কোচ টেন হাগের তার দলে ফলস নাইনের ভূমিকাও রাখে জিয়েচকে। ফলে গোলের পাশাপাশি দরকারে নিচে নেমেও দলের সহায়তা করে এই মরক্কোর ফুটবলার। আবার প্রায়সময়ই দুই উইংয়ে নেরেস আর জিয়েচের গতির সাথে মাঝখানে ফিনিশারের ভূমিকায় থাকে তাদিচ৷

তবে টেন হাগের এই ফরমেশনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই ফুটবলার হচ্ছেন ডি ইয়ং আর ডি লিট৷ এর পাশাপাশি আছেন ব্লিন্ড৷ প্রতিপক্ষের আক্রমনের সময় মুহূর্তেই ৪-২-৩-১ ফরমেশনে চলে যায় আয়াক্স, ডি ইয়ং, ব্লিন্ড আর ডি লিট তখন একসাথে দাঁড়িয়ে আক্রমণ প্রতিহত করেন৷ আবার আয়াক্সের প্রতি আক্রমনে সেই দলেরই ফরমেশন পরিবর্তন হয়ে দাঁড়ায় ১-২-৩-৪ এ৷

সেন্টারব্যাক হিসেবে তখন শুধুই থাকেন ব্লিন্ড, প্রতি মুহুর্তেই এই পরিবর্তনে প্রতিপক্ষও ঘাবড়ে যায়, যার মাঝে ফায়দা তুলে নেয় ডাচ এই ক্লাবটা।

ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ বা চ্যাম্পিয়নস লিগে মোট ৬ বার ফাইনাল খেলেছে ইয়োহান ক্রুইফের উত্তরসূরীরা, এরমধ্যে ৪ বারই হয়েছে চ্যাম্পিয়ন। শেষবার যখন চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিলো আয়াক্স তখন জন্মও হয়নি বর্তমান অধিনায়ক ম্যাথিস ডি লিটের৷ ১৯৯৭ সালের পর আরেকবার সেমিফাইনালে আয়াক্স আমস্টারডাম, সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে পৌছানোর জন্য এই তরুণদের প্রথমেই পাড়ি দিতে হবে টটেনহ্যামের বড় বাঁধা, স্পার্সদের হারাতে পারলেই শিরোপার কাছ থেকে কেবল একধাপ দূরে থাকবে। তরুণদের এই যুগে না হয় আরেকবার উড়ুক যৌবনের কেতন! সূত্র : স্পোর্টস ক্যাসেল.কম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়