ফাতেমা ইসলাম : মানুষের শরীর ঘামবেই, না ঘামাটাই অস্বাভাবিক। স্বভাবিক মাত্রার ঘাম কোন রোগ নয়। তবে যখন অন্যান্য সবার চেয়ে বেশি মাত্রায় ঘামের সৃষ্টি হবে, বুঝতে হবে কোন সমস্যা। এই সমস্যা হলো পানিশূন্যতা। শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে ঘর্মগ্রন্থি বেশি করে ঘাম উৎপাদন করতে থাকে। বেশি ঘামের সমস্যা থাকলে ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। স‚ত্র : দ্য হেলথ সাইট
শরীর ঘামের কারণঃ বিভিন্ন অসুখের কারণেও সারা শরীর বেশি ঘামতে পারে। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা থায়রোটক্সিকোসিস বা নারীদের মেনোপজের পর হরমোনের তারতম্যের কারণেও ঘাম বেশি হতে পারে। আবার লসিকা গ্রন্থির ক্যান্সার ও ওষুধের প্রভাবেও এটি হতে পারে। অতি উদ্বেগজনিত মানসিক সমস্যা আছে যাদের, তারাও অতিরিক্ত ঘামতে পারেন।
ঘামের সমাধানঃ এমনিতে জ্বর, আকস্মিক শারীরিক পরিশ্রম, গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ায় বেশি হলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। বরং অতিরিক্ত ঘাম এড়ানোর জন্য এ সময় ঠাণ্ডা ও প্রচুর পানিযুক্ত খাবার, ফলমূল ও সবজি খান। বেশি ঝাল-মসলাদার ও চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। রোদ ও গরম থেকে বাঁচতে পাতলা সুতি হালকা রঙের জামা-কাপড় পরুন, ছাতা বা হ্যাট ব্যবহার করুন। পা ঘামলে জুতো না পরে এ সময় খোলা স্যান্ডেল পরুন, মোজা এড়িয়ে চলুন। ঘামের দুর্গন্ধ এড়াতে অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট ব্যবহার করতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :