হ্যাপি আক্তার : রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায় বলেন, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত বলেছিলো সংসদে গেলে হবে জাতীয় বেঈমান। তার পরও দেখা গেলো বিএনপির ৫ জন সংসদে চলে গেলন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে বিএনপিকে স্বাগত জানিয়েছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাস্তবতা এটাই। বুধবার রাতে এটিএন নিউজের ‘ পলিটিক্স প্লাস’ টকশোতে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিএনপিকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব মনে হয় আওয়ামী লীগের পড়ে গেছে। তারা মানববন্ধন করতে পারে না। যৌক্তিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে না। তারা তাদের নিজেদের দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে পারে না। গত কয়েক বছরে নির্বাহী কোনো সভা করতে পারেনি। নির্বাহী কমিটি সদস্য সংখ্যা কত বিএনপির একজন কট্টর নেতাও তা বলতে পারবেন না। স্থায়ী কমিটির বৈঠক করতে হয় বেগম খালেদা জিয়ার অফিসের পিয়নদের কাছে মোবাইল ফোন জমা দিয়ে। বিএনপি এক অদ্ভুত দল, বিএনপির সমর্থকরা এখন মনে করে এই বিএনপি ‘লইয়া’ কি করবো। এটি খুব বাস্তব কথা।
তিনি আরো বলেন, এক এগারোর সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রেফতার হওয়ার ৩২-৩৩ দিনের মাথায় ঢাকা শহরের ৬ ভাগের এক ভাগ মানুষ শেখ হাসিনার মুক্তি চেয়ে স্বাক্ষর করেছিলেন। সে তুলনায় বেগম খালেদা জিয়ার অনেক আইনজীবী এবং অসখ্য নেতা কর্মী থাকা সত্ত্বেও তার মামলা ১০ বছর ধরে চলছে। বিএনপি তার মুক্তির জন্য কোনো যৌক্তিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। বাস্তবতা হলো, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সাধারণ মানুষের কোনো সহানুভূতি নেই, থাকবার কথা নয়। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন।
আপনার মতামত লিখুন :