ইসমাঈল হুসাইন ইমু : ঢাকার মোহাম্মদপুর বসিলায় সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় র্যাবের অভিযানের মধ্যে বিস্ফোরণে নিহত দুইজনের ছিন্নভিন্ন দেহ চেনার উপায় নেই। তবে তারা দুই বছর আগে মিরপুর ও সীতাকুÐ অভিযানের সময় পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গি কি না, তা খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন একজন র্যাব কর্মকর্তা।
সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার খন্দকার তৌহিদ হাসান বলেন, মরদেহগুলো একেবারে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। আঙ্গুলের ছাপ নিয়েও পরিচয় শনাক্তের কোনো সুযোগ নেই। ডিএনএ পরীক্ষা বা অন্য কোনো সূত্র ধরে তাদের পরিচয় বের করতে হবে। সুজন ও সুমন নিহতদের প্রকৃত নাম কিনা সে ব্যাপারে তারা নিশ্চিত হতে পারেননি। বাড়ির মালিক ওয়াহাবও এর বেশি তথ্য দিতে পারেননি।
তবে মিরপুরের বর্ধনবাড়ীর জঙ্গি আস্তানার এক জঙ্গির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সীতাকুন্ডের জঙ্গি আস্তানা থেকেও একজন পালিয়ে গিয়েছিল। বসিলায় নিহত দুজন তারা কি না সে বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মিরপুরের বর্ধনবাড়ী এলাকায় ‘কমল প্রভা’ নামের একটি বাড়িতে র্যাবের অভিযানের মধ্যে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানো হলে একই পরিবারের সাতজন নিহত হয়। ওই বছর মার্চ মাসে সীতাকুন্ডে কাছাকাছি দুটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় চারজন নিহত হয়, গ্রেপ্তার হয় নব্য জেএমবিতে জড়িত এক দম্পতি।
আপনার মতামত লিখুন :