জিরু শেখ : সোমবার বেলা সাড়ে ৩টায় সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের দপ্তরে এ আদেশ এসে পৌঁছায়। চার চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আব্দুস শাকুর।
এর আগে রোববার দুপুরে ওই চার চিকিৎসককে ওএসডি (দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি) করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সাময়িক বরখাস্তকৃত চিকিৎসকরা হলেন-সিনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারি ডাক্তার আকরাম হোসেন, জুনিয়র কনসালটেন্ট কার্ডিওলজি ডাক্তার শওকত আলী, জুনিয়র কনসালটেন্ট কার্ডিওলজি ডাক্তার রবিউল আলম ও মেডিকেল অফিসার এ এস এম সায়েম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা গত ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় সদর হাসপাতালে আকস্মিক পরিদর্শনের সময় ওই চার চিকিৎসককে হাসপাতালে অনুপস্থিত পান। ওইদিন (২৫ এপ্রিল) কর্তব্যরত চিকিৎসকদের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না দেখে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আব্দুস শাকুর এবং সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আকরাম হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন এমপি মাশরাফি। এ সময় বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যার কথা শোনেন এবং হাসপাতালের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার চিত্র দেখতে পান। পরে হাসপাতালের কর্মকর্তা এবং জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি।
নড়াইল সদর হাসপাতালে ৩৯জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও আছেন ১৭ জন। এর মধ্যে পাঁচজন চিকিৎসক সংযুক্তিতে।
ভুক্তভোগী রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, অধিকাংশ চিকিৎসকই সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিনের বেশি নড়াইল সদর হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেন না। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :