স্বপ্না চক্রবর্তী : রাজধানীসহ সারা দেশের তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনের। প্রতিদিনই তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে পাল্লা দিয়ে। সোমবার তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলেও আজ তা ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশংকা করছে আবহাওয়া অফিস। তবে আগামী ২ বা ৩ মে ঘূর্ণিঝড় ফনীর প্রভাবের তাপমাত্রা কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
সোমবার আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান জানান, সারা দেশের উপর দিয়ে মৃদু তাপ দাহ বয়ে যাচ্ছে। এই দাবদাহ আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। তিনি বলেন, আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ফনীর প্রভাবেই এমনটা হচ্ছে। কারণ এর ফলে আকাশের মেঘ সব জলীয় বাষ্পে রুপান্তরিত হচ্ছে। ফলে বৃষ্টি নামতে পারছে না। তবে ভারতের উপকূল অঞ্চলে ফনীর আঘাতের পর পরই বাংলাদেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হতে পারে। এর জন্য ৩ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
এদিকে তীব্র গরমে বাড়ছে নানা রকমের রোগ। বিশেষ করে ডায়রিয়া, জ্বর, শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। বিশেষজ্ঞরা প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে পরামর্শ দিলেও কর্মজীবী লোকজন পিপাসা মিটাতে বাধ্য হয়ে ফুটপাতের শরবত, পানি পান করছেন। এতে করে পানিবাহিত অন্যান্য রোগও ছড়াচ্ছে দিন দিন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাচিপ নেতা ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, এই গরমে শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পানের বিকল্প নেই। পাশাপাশি পানিশূন্যতা পরিহার করতে খাবার স্যালাইন, ডাবের পানি পান করতে হবে। এই গরমে তেল জাতীয় খাবার পরিহার করাই শ্রেয়। হালকা শাক-সবজি, ভাত-মাছ খেতে হবে। পানিবাহিত রোগের হাত থেকে বাঁচতে রাস্তার শরবত বা পানি না খাওয়াই ভালো।